গোলমালের পরে। নিজস্ব চিত্র
ডাক্তার সেজে এক রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই রোগীর পরিজনেরা ধৃত কর্মীকে বোরহাটের ওই নার্সিংহোমেই মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, ধৃত সৌরভ সরকারের বাড়ি খণ্ডঘোষে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয় আউশগ্রামের এড়াল গ্রামের এক মহিলার। বর্ধমান শহরের বোরহাটের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয়। পরিবারের দাবি, চিকিৎসকেরা জানান, আরও এক দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছাড়া হবে তাঁকে। তবে চিকিৎসক ছুটি না দেওয়া সত্ত্বেও রোগী বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন দেখে তাঁরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ, বাড়ি গিয়ে ওই মহিলা দাবি করেন, ওই নার্সিংহোমের এক জন চিকিৎসার নামে তাঁর সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণ করেছেন। শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রোগীর পরিজনেরা নার্সিংহোমে এসে কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা জানতে পারেন ধৃত যুবক নার্সিংহোমে তিন বছর ধরে ওয়ার্ড বয়ের কাজ করছেন। তিনি বাইরে বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। একের পর এক প্রশ্ন করা হয়। ‘সদুত্তর’ না পেয়ে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নার্সিংহোমেরই কয়েকজন অভিযুক্তকে কোনও রকমে ভিতরে ঢুকিয়ে নেন। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের কাছে ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী বাড়ি গিয়ে জানিয়েছেন, ওই যুবক তাঁর কাছে ডাক্তার সেজে এসে কুপ্রস্তাব দেয়। অভব্য আচরণ, শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, ওই রোগীর প্রেসার মাপতে গিয়েছিলেন তিনি। কোনও অভব্য আচরণ করা হয়নি বলেও তাঁর দাবি। নার্সিংহোমের মালিকের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy