Advertisement
১১ মে ২০২৪
Hijacking Case

চালককে মারধর করে গাড়ি ছিনতাইয়ে ধৃত ১

পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘দুষ্কৃতী’রা শনিবার রাত ১১টা নাগাদ রানি রাসমনি রোড থেকে বর্ধমান যাওয়ার নাম করে খুরশিদের গাড়ি ভাড়া করে।

কোর্টের পথে ধৃত। নিজস্ব চিত্র

কোর্টের পথে ধৃত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪৪
Share: Save:

চালককে মারধর করে গাড়ি, টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালানোর ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের আমবোনা এলাকার ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার মেটিয়াবুরুজের দেওয়ানবাগান লেনে বাড়ি থেকে সঞ্জয় সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি অভিযোগকারী চালক, কলকাতারই রবীন্দ্রনগর থানার বিধানগড়ের বাসিন্দা খুরশিদ আহমেদের পূর্বপরিচিত বলে জেনেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খুরশিদ অভিযোগ করেছিলেন, সঞ্জয়ও কলকাতার রানি রাসমনি রোডে ট্যাক্সি রাখেন। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে পেশাগত শত্রুতা তৈরি হয়। তাঁকে হুমকিও দিয়েছিলেন সঞ্জয়। এর পরেই পুলিশ রানি রাসমনি রোডের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে সঞ্জয়ের আচরণ পুলিশের কাছে সন্দেহজনক ঠেকে। পুলিশের দাবি, ওই ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গিয়ে অন্য চালকদের সঙ্গে কথা বলে তারা সহযোগিতা পেলেও সঞ্জয় তাঁদের এড়িয়ে যাচ্ছিল। এমনকি, স্ট্যান্ডেও বেশিক্ষণ গাড়ি নিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন না। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘দুষ্কৃতী’রা শনিবার রাত ১১টা নাগাদ রানি রাসমনি রোড থেকে বর্ধমান যাওয়ার নাম করে খুরশিদের গাড়ি ভাড়া করে। বর্ধমান পৌঁছনোর পরে, বোলপুরে যাওয়ার কথা জানায়। তার পরে আউশগ্রামের গোবিন্দপুর থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ফের বর্ধমানের দিকে ফিরতে চায়। তদন্তকারীরা জানান, খুরশিদের বয়ান অনুযায়ী, রাত সওয়া ৩টে নাগাদ ভাতারের আমবোনা মোড়ের কাছে ‘যাত্রী’রা গাড়িটি দাঁড় করাতে বলে। খুরশিদ গাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড় করান। তখনই হিন্দিভাষী ওই তিন ‘যাত্রী’ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে তাঁকে মারধর করে। হাত-পা-মুখ বেঁধে ধানখেতে ফেলে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। পুলিশের দাবি, ওই রাতেই গাড়িটি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দুর্গাপুরের দিকে গিয়েছিল, তা জানা যায়।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে রড, সেলোটেপ, দড়ি, চটি, গেঞ্জি ও জিনসের প্যান্ট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত সঞ্জয়ের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফৈজ়াবাদে। তিনি কলকাতায় থাকলেও ‘দেশের বাড়ি’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশের অনুমান, খুরশিদকে ‘শিক্ষা’ দিতেই উত্তরপ্রদেশ থেকে তিন জনকে ‘ভাড়া’ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। সঞ্জয়কে জেরা করে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা হবে বলে জানায় ভাতার থানার পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hijacking Case Car Bhatar Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE