মৃতদেহ নিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এ বার মাঠে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুর এলাকায়। মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম হন ছেলেও। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
হাটগোবিন্দপুরের রামনগরের বাসিন্দা আশা দাস (৫০) মাঠ থেকে শাক-সব্জি তুলে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন। প্রতি দিনের মতো সোমবারও তিনি মাঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও মা বাড়ি না ফেরায় আশার ছেলে রাহুল দাস তাঁর খোঁজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাহুল মাঠে গিয়ে দেখতে পান, আশার মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। মাকে উদ্ধার করতে গিয়ে জখম হন তিনিও। রাহুলকে ভর্তি করানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আশার মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা কালনা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শক্তিগড় থানার পুলিশ। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। ভ্যান রিকশায় মৃতদেহ রেখে রাতভর বিক্ষোভ চলে। ওই সময় বিদ্যুৎ দফতরের একটি গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের আঁচ পড়ে গাড়িটির উপর। ওই গাড়িটিতে ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বর্ধমানের খোসবাগান এলাকায় জলে ডুবে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম হয়েছেন এক তরুণী। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল গ্রামের তরুণী লাবণী সরকার মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি একটি টোটোয় চাপিয়ে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় লাবণীকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাঁকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy