ফাইল চিত্র।
ডায়রিয়ায় প্রকোপ দেখা গিয়েছে গলসি ১-এর উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের চরকডাঙা গ্রাম। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন গ্রামবাসীকে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্লক মেডিক্যাল অফিসার-সহ চিকিৎসকদের দল, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু-সহ প্রশাসনের কর্তারা গ্রামে যান।
গ্রামে প্রায় ১৭৫টি পরিবার রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশির ভাগ বাড়িতেই শৌচাগার নেই। তবে দেবুবাবুর দাবি, ‘‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, বেশির ভাগ বাড়িতেই শৌচাগার রয়েছে। দু’-এক জনের নেই। তাঁদের বাড়িতে দ্রুত শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।’’ গ্রামে পাঁচটি নলকূপ থাকলেও এলাকাবাসীকে দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ সারতে হয় পুকুরের জলে। চিকিৎসকদের একাংশের অনুমান, ‘অস্বাস্থ্যকর’ পানীয় জলের কারণেই রোগ ছড়িয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন বিএমওএইচ (গলসি ১) ফারুক হোসেন।
গ্রামবাসী জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে এলাকার কয়েক জন পেটের যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করেন। হয়, বমি-সহ নানা উপসর্গ। ওই অসুস্থ ব্যক্তিদের বুধবার দুপুরে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলাল হেমব্রম, গোপাল মুর্মু, গণেশ মুর্মুরা বলেন, ‘‘প্রথমে দু’-এক জনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল। বুধবার সকাল থেকে সমস্যা বাড়ে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ছ’জন মহিলা, তিন জন শিশু-সহ মোট ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে শুয়ে পরেশ মাণ্ডি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সকাল থেকে বমি-সহ আরও নানা উপসর্গ। দুই ছেলেরও একই হাল।’’
বুধবার গ্রামে একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও সেটির সঙ্গে ডায়রিয়ার কোনও রকম যোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএমওএইচ। এ দিন পরিদর্শনের পরে দেবুবাবু বলেন, ‘‘ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুকুরের জল যাতে কেউ আর ব্যবহার না করেন, সে জন্য গ্রামবাসীকে সচেতন করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকেই গ্রামে আরও তিনটি নলকূপ বসানো হবে।’’
ব্লক স্বাস্থ্য দফতর জানায়, গ্রামের পুকুরে ও দু’টি নলকূপের জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy