Advertisement
E-Paper

Partha Chatterjee: রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন শিল্পমন্ত্রী

এ দিন দলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্‌হার সমর্থনে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভায় যোগ দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৫৩
আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। রবিবার।

আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

শিল্প-মুলুকে ভোট প্রচারে এসে এলাকার শিল্প পরিস্থিতি নিয়েই সরব হলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়! রবিবার আসানসোলে এসে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রসঙ্গে বিঁধলেন কেন্দ্রকে।
এ দিন দলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্‌হার সমর্থনে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভায় যোগ দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের সৌজন্যে আসানসোল শিল্পনগরী গত দশ-বারো বছরে ক্রমে মৃতনগরী হয়ে উঠেছে। ইসিএলের ভাগ্যে কী আছে শেষমেশ, তা-ও জানি না। তবে এই এলাকার শিল্পোন্নয়নে আমরা একাধিক কর্মসূচি নিয়েছি। বন্ধ হওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পগুলির পুনরুজ্জীবনে আমরা অনেক প্রস্তাব দিয়েছি।”

একদা আসানসোলে কর্মসূত্রে প্রায়ই তাঁর যাতায়াত ছিল জানিয়ে তিনি দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য আহ্বানও জানান। রবীন্দ্র ভবনের ওই কর্মিসভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটকও।

ঘটনাচক্রে, পার্থর এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, আদতে এর মাধ্যমে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সংগঠিত এবং অসংগঠিত শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিরাট সংখ্যক জনতাকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইসিএলের বেশির ভাগ খনিই এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে। তা ছাড়া, এলাকায় রয়েছে রেল, ইস্কো, সিএলডব্লিউ-সহ রয়েছে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পক্ষেত্র।

তবে পার্থর এই মন্তব্যের পরেই সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে-র প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূলের তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের সৌজন্যে রাজ্যে কোনও নতুন শিল্প আসছে না। আগে নিজেদের সংশোধন করুন ওঁরা।” সিপিএম নেতা তথা সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “শিল্পক্ষেত্র ও শ্রমিকের কথা ভাবে না কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই। দুই সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য শ্রমিক আজ ভাল নেই।”

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “শ্রমিকদের জন্য নানা সামাজিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে রাজ্যে, সেটা বিরোধীরা জেনেও জানেন না।”

পাশাপাশি, পার্থ এ দিন মন্তব্য করেন, “শান্ত ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হলে, আমরা জিতব, তা বিশ্বাস করি।”— এই মন্তব্যের কথা জেনেই বিজেপি নেতা দিলীপের টিপ্পনী: “আসলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায়, গত পুরভোটের মতো ছাপ্পা দিতে পারবে না তৃণমূল। তাই এখন ভয় পেয়ে ওঁরা শান্ত ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির কথা বলছেন।”

তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “যত খুশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, আমাদের যে তাতে কোনও অসুবিধা নেই, মানুষ গত বিধানসভা ভোটে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন।”

Partha Chattejee Centre
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy