প্রতীকী ছবি।
এক বৃদ্ধা রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার শরীরে মেয়াদ ফুরনো বেশ কিছুটা স্যালাইন চলে যাওয়ার পর বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। কার গাফিলতি তা জানার পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাঁকুড়ার ইন্দাসের নাটরা গ্রামের ৭৪ বছরের আরতি সাহানা রবিবার সকালে জ্বর ও পেটের রোগ নিয়ে হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। নানা পরীক্ষার পরে চিকিৎসকেরা জানান, রক্তে সোডিয়াম কমে যাওয়ায় আরতিদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে স্যালাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। দু’দিন ধরে দিনে পাঁচটা স্যালাইন দেওয়ার পরে অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন আরতিদেবী।
কিন্তু বিপত্তি বাধে এ দিন সকালে। রোগিণীর নাতি রাহুল সোমের দাবি, এক বছর আগে মেয়াদ ফুরনো স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে, নজরে পড়ে তাঁদের। তিনি বিষয়টি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সকে জানান। আরতিদেবীর ছেলে প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের অভিযোগ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টের দুর্ব্যবহার করা হয়।’’ তার পরেই বিষয়টি ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়।
অভিযোগ, বিক্ষোভ শুরু হতেই কর্তব্যরত নার্সরা স্যালাইনটি খুলে নেন। তবে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে স্যালাইনটি খতিয়ে দেখেন ডেপুটি সুপার অমিতাভবাবু। দেখা যায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তৈরি স্যালাইনটির মেয়াদ ফুরিয়েছে গত বছর অগস্টে। এক বছর ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন হাসপাতালে মজুত রইল কী ভাবে? অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘তা তদন্ত সাপেক্ষ। স্টক রুম পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy