মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা। কাটোয়ার বাজারে। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ফের ভিড়ে ভাসল কাটোয়া। বুধবার শহরের নানা বাজার ও রাস্তাঘাটে গিজগিজে ভিড় দেখা যায়। অধিকাংশের মুখে মাস্কও ছিল না। ব্যবসায়ীদের একাংশও স্বাস্থ্য-বিধি মানেননি বলে অভিযোগ। পুলিশকেও সক্রিয় হতে দেখা যায়নি, দাবি এলাকার লোকজনের।যে কোনও পুজো-পার্বণের আগের দিন বাজারে ভিড় বাড়ার একটা প্রবণতা থাকে। এ বছর পয়লা বৈশাখের আগে লকডাউন শুরু হওয়ায় বাকি অনুষ্ঠানে তেমন আসা-যাওয়া হয়নি। এ দিন অবশ্য সকাল থেকেই কেনাকাটা, গঙ্গায় স্নান করার জন্য আশপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ আসেন শহরে। গাড়ি, মোটরভ্যান চেপে বাইরে থেকে লোক আসতে দেখা যায়।
পাল্লা দিয়ে ভিড় হয় দশকর্মা, ফল, মিষ্টি, কাপড়ের দোকানেও। বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে স্টেশনবাজার, কাছারি রোড, লেনিন সরণি, নিচুবাজার, বড়বাজারেও ভিড় ছিল। মাস্ক ছাড়া, স্বাস্থ্য-বিধি না মেনেই দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ঘেঁষাঘেঁষি করেই দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। শহরবাসীর ক্ষোভ, আনলক পর্ব শুরু হলেও করোনা সংক্রমণ এতটুকুও কমেনি। এই অবস্থায় ঢিল দেওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা। এ ভাবে চললে পুজোর মুখে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, বিশ্বকর্মা পুজো, মহালয়ার আগে পুজো, তর্পণের কেনাকাটার জন্য বাজারে লোক সমাগম হওয়া স্বাভাবিক। পুলিশ, প্রশাসনের উচিত ছিল আগাম ব্যবস্থা নেওয়া। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “করোনাকে হারাতে গেলে প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত আমাদের আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে। রাস্তায় ভিড় একেবারেই করা যাবে না।’’ পুলিশের দাবি, ভিড় রুখতে ট্র্যাফিক পুলিশ সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল। স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলতে প্রচার চালানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy