বিক্ষোভকারীদের সরাতে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
দলের রাজ্য সভাপতিকে ‘হেনস্থা’ এবং সাংসদ অর্জুন সিংহকে মারধরের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। বর্ধমানে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের সময় গোলমাল এতটাই বাড়ে যে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখা যায় পুলিশকে। প্রাথমিক ভাবে বিজেপির কয়েকজন কর্মী, সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার প্রতিবাদেও বর্ধমান থানায় চলে বিক্ষোভ। পরে ওই কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুর থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে। দুপুর ২টোর একটু আগে বিজেপি সমর্থকদের স্লোগান দিতে দিতে এসপি অফিসের দিকে আসতে দেখা যায়। জেলাশাসকের অফিসের সামনে নেতাজি মূর্তির কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকায়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে এগোতে চাইলে গোলমাল শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। সাময়িক ভাবে কার্জন গেট চত্বর ফাঁকা হলেও ফের বেশ কয়েকজন বিজেপির পতাকা হাতে জড়ো হন সেখানে। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পুরো কর্মসূচিতেই ছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য দেবাশিস সরকার, যুব নেতা শ্যামল রায়। শ্যামলবাবুর দাবি, ‘‘পুলিশ এক জন সাংসদকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। সেই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টে লাঠি চালিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।’’
পুলিশের যদিও দাবি, অবরোধকারীদের সরাতে তাড়া করা হয়। লাঠি চালানো হয়নি।
ডান দিকে, ব্যারিকেড নিয়ে হুড়োহুড়ি বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র
এ দিনই বিকেলে কালনার এসডিপিও কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দলের কর্মীদের দাবি, পুলিশের নিরাপেক্ষতার অভাবেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। কর্মসূচিতে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ, রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিক, জেলা সম্পাদক ধনঞ্জয় হালদার প্রমুখ। ভাতারের ওরগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে ২বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন সাহেবগঞ্জ ২ অঞ্চল বিজেপি কর্মীরা। মিনিট দশেক অবরোধ চলার পরে, পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy