E-Paper

পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, রবি মরসুমে সমস্যায় নবগ্রামের চাষিরা

নবগ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। ধান ছাড়াও সারা বছর নানা ধরনের আনাজ চাষ করেন অনেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১৮
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না সাবমার্সিবল পাম্প। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার নবগ্রামে।

বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না সাবমার্সিবল পাম্প। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার নবগ্রামে। ছবি: বিপ্লব ভট্টাচার্য।

এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না দু’টি সাবমার্সিবল পাম্প। সমস্যাটি কাঁকসার বিদবিহার পঞ্চায়েতের নবগ্রামের। এই গ্রামের চাষিদের দাবি, রবি মরসুমে জলের অভাবে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-য় বীরভূমের জয়দেব থেকে কাঁকসার শিবপুর পর্যন্ত অজয় নদের উপরে একটি পাকা সেতু নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজও শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণ করতে গিয়ে নবগ্রামের বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বাসিন্দাদের দাবি, এর ফলে, এলাকার বেশ কয়েকটি সাবমার্সিবল পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। সে সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এলাকায় আরও কয়েকটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কথা বলা হয়।

নবগ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। ধান ছাড়াও সারা বছর নানা ধরনের আনাজ চাষ করেন অনেকে। চাষের কাজের সুবিধার জন্য অনেকে ব্যক্তিগত ভাবে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়েছিলেন। সেতু তৈরির জন্য সে সব নষ্ট হয়ে যায়। এর পরেই এলাকায় নতুন সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর দাবি ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তরফে এলাকায় প্রায় সাতটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কথা ঘোষণা করা হয়। প্রায় ন’মাস আগে মাত্র দু’টি পাম্পের কাজ হয়েছে। প্রায় তিন লক্ষ টাকায় পাম্পঘর তৈরি হয়ে গেলেও, সেগুলি থেকে এখনও জল মিলছে না।

এলাকার বাসিন্দা হৃদয় ঘোষ বলেন, “এখন রবি মরসুমের চাষ চলছে। এখানে সাবমার্সিবল বা স্যালো ছাড়া জলের অন্য কোনও উৎস নেই। তাই চাষিদের সমস্যা মেটাতে দ্রুত সেগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া দরকার।” এলাকার আর এক চাষি পীযূষকান্তি মণ্ডল জানান, এ বছর জলের অভাবে আমন ধানের চাষ মার খেয়েছে। রবি মরসুমেও জলের অভাবে আনাজের বাড় কম হচ্ছে। তাঁরা বলেন, “এই সমস্যার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের নানা মহলে জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যা এখনও মেটেনি।”

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। ওই দু’টি সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanksa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy