Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Sidho-Kanho Bridge

সংস্কার শুরু চিত্তরঞ্জনের সেতুর

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে অজয় নদ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় চিত্তরঞ্জনের সিধো-কানহো সেতুটি।

picture of bridge.

সেতুর কাজ শুরু। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৫
Share: Save:

প্রায় বছর দেড়েক আগে প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেতু। মঙ্গলবার চিত্তরঞ্জনের অজয় নদের উপরে সেই সিধো-কানহো সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হল। সংস্কারের কাজের সূচনা করলেন সিএলডব্লিউ--র জেনারেল ম্যানেজার সতীশকুমার কাশ্যপ।

অজয় তীরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া গ্রামগুলির রেলকর্মী ও সাধারণ বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য এই সেতুটি ১৯৯১-এ তৈরি করেছিল সিএলডব্লিউ।

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে অজয় নদ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় চিত্তরঞ্জনের সিধো-কানহো সেতুটি। ছ’নম্বর স্তম্ভটি কাত হয়ে পড়ে। নড়বড়ে হয়ে যায় পাঁচ নম্বর স্তম্ভটিও। বিষয়টি নজরে পড়তেই কারখানা কর্তৃপক্ষ সেতু দিয়ে সব রকম যাতায়াত বন্ধ করে দেন।

কিন্তু সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন রেলকর্মী ও বাসিন্দারা। সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা। এই অবস্থায় মাস ছয়েক পরে সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্তম্ভগুলি সামান্য মেরামত করে পায়ে হেঁটে যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ বার পুরোপুরি সংস্কারের কাজ শুরু করা হল। জিএম সতীশ বলেন, “এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য এই সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।”

সিএলডব্লিউ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে প্রায় এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকায় সেতুটি সংস্কার করানো হচ্ছে। মোট ১৪টি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুটির সাতটি স্তম্ভই অজয়-বক্ষে রয়েছে। ওই সাতটি স্তম্ভ সংস্কার করা হবে। সামান্য সংস্কার করা হবে বাকি স্তম্ভগুলিও। সংস্কার করতে সময় লাগবে প্রায় তিন মাস। এই তিন মাস স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য সেতুর পাশে হিউম পাইপ ও বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী যাতয়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই সেতুটি সংস্কারের কাজ হয়ে গেলে, উপকৃত হবেন পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর, সালানপুর এবং ঝাড়খণ্ডের মোহনপুর, বাগজুড়ি, বিন্দাপাথর, খড়িমাটি এলাকার প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা। সেতুটি বন্ধ থাকায় এলাকার বাসিন্দাদের এই মুহূর্তে ১২ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে মিহিজাম হয়ে অথবা ১৮ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে রুনাকুড়া ঘাট পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

এর আগে ২০০২-এ বন্যায় প্রথম বার এই সেতুটির ক্ষতি হয়েছিল। সে বারও সংস্কারের জন্য কয়েক মাস সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রেখেছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bridge Renovation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE