প্রতীকী ছবি।
মাতৃপক্ষের শুরুতেই ভয় ধরিয়ে দিল শব্দ-দানব!
বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের দাবি, শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বাজি ফাটার আওয়াজ কানে আসছিল। রবিবার ভোরে তাতে আর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আওয়াজে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন বয়স্ক থেকে শিশুরা। পোষ্য থেকে রাস্তার কুকুরেরাও অস্থির হয়ে পড়েছিল, দাবি তাঁদের। একই অভিযোগ কাটোয়া শহরের একাংশ বাসিন্দারও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মহালয়ার রাতে পুলিশের মোবাইল ভ্যান ঘুরেছে। অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু কালীপুজোর রাত নয়, মহালয়ার রাতেও শব্দদূষণ রুখতে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।’’
বর্ধমান শহর পুর নাগরিক কল্যাণ কমিটির সম্পাদক চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মহালয়ার ভোরে যদি শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হতে হয়, তাহলে দীপাবলির রাতে কী হবে, ভাবতেই পারছি না। প্রশাসন কি শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না?’’ ওই কমিটির সদস্যদেরও দাবি, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত যে ভাবে বাজি ফেটেছে তাতে দীপাবলির আগে, সন্ধিপুজোর সময়ে, এমনকি লক্ষ্মীপুজোর রাতেও শব্দবাজির অত্যাচার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কাটোয়াতেও শব্দবাজির দাপটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সানন্দা সেন সমাজ মাধ্যমে শব্দবাজির দাপাদাপির প্রতিবাদে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মহালয়ার অজুহাতে রাত থেকে চলছে শব্দদানবের অত্যাচার। বাড়িতে রোগী আছেন, বিকট শব্দে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কে বা শুনবে?’ হিয়া চট্টোপাধ্যায় নামে একজনও লিখেছেন, ‘প্রশাসন লোক দেখানো ঘোষণা করেছে। কিন্তু শব্দবাজি বন্ধ করার দায়িত্ব নিতে পারেনি’। বর্ধমান শহরের তর্পণের সময়ে ডিজে বাজানোরও অভিযোগ উঠেছে। এক বৃদ্ধ বলেন, ‘‘দামোদরে তর্পণ করতে গিয়েছিলাম। ডিজের আওয়াজে বুক কাঁপছিল।’’ শুধু কালীপুজোর আগে নয়, মহালয়ার আগেও শব্দবাজির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চালানো উচিত, দাবি তাঁদের।
বর্ধমান শহরের ব্যবসায়ী শীর্ষেন্দু সাধু থেকে কাটোয়ার ব্যবসায়ী বিদ্যুৎকুমার নন্দীরাও বলেন, ‘‘শহর জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসেছে। পুলিশ প্রশাসনের সব দিকে নজর দেওয়া উচিত।’’ চিকিৎসকদের দাবি, লাগামছাড়া বাজির আওয়াজে কানে অসুবিধা হতে পারে। অসুস্থ মানুষের হৃদযন্ত্রেও সমস্যা হতা পারে, বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy