E-Paper

এগোচ্ছে ভাগীরথী, আতঙ্ক ঝাউডাঙায়

ভাগীরথী পেরিয়ে পৌঁছতে হয় ঝাউডাঙায়। গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে নদী। দূর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো লাগে এই পঞ্চায়েতের গ্রামগুলি। বাসিন্দারা জানান, ভাঙনবহু বছরের সমস্যা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৫ ০৮:২৭
ঝাউডাঙায় ভাঙন।

ঝাউডাঙায় ভাঙন। —নিজস্ব চিত্র।

ভাগীরথীতে জল বাড়তেই ভাঙন শুরু হয়েছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙনে আগেই তলিয়ে গিয়েছে চাষের জমি, রাস্তা। ফের ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

ভাগীরথী পেরিয়ে পৌঁছতে হয় ঝাউডাঙায়। গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে নদী। দূর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো লাগে এই পঞ্চায়েতের গ্রামগুলি। বাসিন্দারা জানান, ভাঙনবহু বছরের সমস্যা। গ্রামের অনেক চাষযোগ্য জমি তলিয়ে গিয়েছে। মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছে রাস্তা। নদীর পাড় যত ভেঙেছে, তত সমস্যা বেড়েছে বাসিন্দাদের। চাষের জমি হারিয়ে ভিন্‌ রাজ্যে কাজে গিয়েছেন বহু যুবক। যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বড় অংশ আনাজ, ফুলচাষের সঙ্গে যুক্ত। অনেকে দুধের ব্যবসা করেন।

এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক দিনে নদীর জল অনেকটা বেড়েছে। উপচে পড়া নদীর জলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। ভাঙনের জেরে ঝাউডাঙার একাংশে জমিতে ফাটল দেখা দিচ্ছে। পরে পাড় ধসে পড়ছে নদীতে। এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দে বলেন, ‘‘ভাঙনে প্রচুর চাষের জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এর পরে ফের চাষের জমি চলে গেলে রুটিরুজির সঙ্কট তৈরি হবে। দ্রুত ভাঙন রোখার কাজ শুরু করতে হবে।’’ আর এক বাসিন্দা প্রহ্লাদ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘ভাঙন শুরু হওয়ায় বহু মানুষের ঘুম উড়েছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’’

মঙ্গলবার পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। প্রায় আড়াইশো মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত যাতে কাজ হয় তা নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আগে ওই গ্রামে পাড় বাঁধানোর কাজ হয়েছিল। নতুন করে একটি এলাকায় এ বার ভাঙন শুরু হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhagirathi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy