Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Road Blockade

জলের দাবিতে অবরোধ জিটি রোডে

স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ সিংহের দাবি, গত শুক্রবার নিয়ামতপুর জিটি রোড লাগোয়া এলাকায় একটি ‘ভালভ’ বসানো হয়েছে। তার পর থেকেই তাঁরা প্রায় নির্জলা রয়েছেন।

তখনও থামেনি বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

তখনও থামেনি বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিয়ামতপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:৪৭
Share: Save:

পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর দাবিতে পথ অবরোধ এবং থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন কুলটির নিয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার প,রে পুলিশি মধ্যস্থতায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই) আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিক্ষোভকারীরা। পিএইচই-র তরফে দ্রুত অবস্থার উন্নতি করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এর পরেই বিক্ষোভ থামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরম পড়তেই প্রত্যেক বছর জলের সমস্যা শুরু হয়ে যায় গিয়েছে আসানসোল পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়ামতপুর লাগোয়া বিষ্ণুবিহার, নীলাচল ও পুরসভার বরো কার্যালয়-সহ আশপাশের অঞ্চলে। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে অবস্থা চরমে উঠেছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ সিংহের দাবি, গত শুক্রবার নিয়ামতপুর জিটি রোড লাগোয়া এলাকায় একটি ‘ভালভ’ বসানো হয়েছে। তার পর থেকেই তাঁরা প্রায় নির্জলা রয়েছেন। অবিলম্বে আগের মতো জল সরবরাহের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কয়েকশো বাসিন্দা জিটি রোড অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলে পুলিশ। এর পরেই বাসিন্দারা থানায় জড়ো হয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নীলা বক্সী বলেন, ‘‘দিনে চার বালতি জল জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। এ ভাবে চলতে পারে না।’’ সোমা তরফদার নামে আর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, জল আনতে বাড়ির পুরুষদের কাকভোরে বালতি নিয়ে কয়েক কিমি দূরে ছুটতে হচ্ছে। যাঁরা নিজেরা পারছেন না তাঁদের চড়া দাম দিয়ে জল কিনতে হচ্ছে। এই অব্যবস্থার জন্য তাঁরা পুর-কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়মিত পুরসভায় কর জমা দেওয়ার পরেও, পানীয় জলের জন্য এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বারবার পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পরেও কিছুই হচ্ছে না।

পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে যান পিএইচই-র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পিনাকী দাস। তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পিনাকীবাবু বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব জল সরবরাহ স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ এই আশ্বাস পেয়েই বাসিন্দারা ফিরে যান।

আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এখনও পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে পিএইচই। যদিও পুরসভার কুলটি জলপ্রকল্প তৈরি হয়ে গেলে, সেখানে পুরসভার তরফেই জল সরবরাহ করা হবে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায় বলেন, ‘‘যত দিন পুরসভার প্রকল্পটি তৈরি না হচ্ছে, ততদিন পিএইচই জল সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবে।’’ তিনি জানান, ‘লকডাউন’-এর জেরে কুলটি জল প্রকল্পের কাজটি থমকে গিয়েছে। তবে পুরসভার ট্যাঙ্কে করে ওই সব নির্জলা অঞ্চলে জল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road Blockade Water Crisis Niyamatpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE