এই ধসের জন্য চিন্তায় পুরো গ্রাম। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জের পর এ বার ধসের কবলে সাঁকতোড়িয়া। কুলটি থানার অন্তর্গত রক্তা গ্রামে একটি জায়গায় বুধবার ধস দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। চিন্তায় ওই জায়গার মালিক।
আসানসোল পুরনিগমের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড তথা সাঁকতোড়িয়ার রক্তা গ্রামের গোপ পরিবারের বাগানে বিশাল ধস দেখা গিয়েছে বুধবার। ধসের জেরে জমির একাংশ তলিয়ে গিয়েছে মাটির তলায়। বাগানের মধ্যে একটি শৌচালয় ছিল। সেটি ঝুলে রয়েছে। ধস ক্রমশ এগোচ্ছে গোপ পরিবারের বসতবাড়ির দিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম ধস শুরু হয়। বুধবার সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনায় এলাকার লোকজনের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই পরিবারের এক সদস্য অসীম গোপ বলেন, ‘‘ধস ক্রমশ গভীর হচ্ছে। আয়তনেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বৃষ্টি হওয়ার পরেই ধস শুরু হয়। ক্রমশ তা বাড়ছে।’’
অনেক আগে ওই স্থানে ইসিএলের খনি ছিল। ১৯৭৩ সালে রক্তা আন্ডারগ্রাউন্ড খনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় মানুষজন বসবাস শুরু করেন। তবে ধসপ্রবণ ওই এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই এ বারের ধসে শুধু গোপ পরিবারই নয়, গোটা গ্রামেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইসিএলের গাফিলতিতে তাঁরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কারণ, মাটির তলা থেকে তারা কয়লা তুলে নিলেও বালি দিয়ে যথাযথ ‘ব্যাকফিলিং’ করা হয়নি। তার পরে অবৈধ ভাবেও কয়লা উত্তোলন হচ্ছে। পুরো গ্রাম ধস কবলিত হলে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকেই প্রশাসনের কাছে পুনর্বাসন চাইছেন। অন্য দিকে, প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তাদের তরফে ইতিমধ্যে খোঁজখবর করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy