আসানসোল আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতকে। —প্রতীকী চিত্র।
বর্ধমান সানমার্গ চিটফান্ড মামলায় ধৃত দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংহকে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে আনা হল আসানসোল সিজিএম আদালতে। ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিনি।
তদন্তকারীদের দাবি, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংহ সংশ্লিষ্ট চিটফান্ড সংস্থা থেকে প্রচুর সুবিধা ভোগ করেছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, বর্ধমান সানমার্গ চিটফান্ড সংস্থার চেয়ারম্যান সৌমরূপ ভৌমিকের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয় সঞ্জয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ওই চিটফান্ডের টাকায় সঞ্জয় অন্য ব্যবসা করেন। তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য জানতে চাইছে সিবিআই।
এই মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহানি ২মাসের বেশি সময় ধরে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাঁর এখনও জামিন হয়নি। শনিবার তাঁকেও আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আসানসোলের সঞ্জয়। অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ভোটের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে চান তিনি। পরে জামিন পেয়েছিলেন।
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সামনে আসে সানমার্গ-কাণ্ড। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা ছাড়াও অন্যান্য লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সিবিআই। তার পর রোজভ্যালি, এমপিএস, সিলিকনের মতো অনেক লগ্নি সংস্থায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, সানমার্গের আর্থিক কেলেঙ্কারি সারদার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। মাত্র দশ বছর বাজার থেকে টাকা তোলার ব্যবসা চালিয়েছিল সংস্থাটি। তাতেই বহরে ছাপিয়ে যায় সারদা কেলেঙ্কারিকে! অন্তত টাকার অঙ্কে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্তত চার রাজ্যের অসংখ্য আমানতকারীর টাকা হাতিয়ে বেমালুম গা-ঢাকা দিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার এবং অন্যান্য কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy