বাগানে ফুল তুলতে গিয়ে মেয়েকে ছোবল মেরেছিল বিষধর সাপ। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলেন পরিজনেরা। সঙ্গে বালতিতে ভরে নিয়েছিলেন সাপটিকেও। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তার আগেই মৃত্যু হল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লক সংলগ্ন মেমারির পলতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম রিঙ্কু ক্ষেত্রপাল। পলতা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী কালনার বিরুহা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মেয়ের আচমকা মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে রিঙ্কুর পরিবার। পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও ঠাকুরের পুজোর জন্য বাড়ির বাগানে ফুল তুলতে গিয়েছিল রিঙ্কু। তখনই তার ডান পায়ে একটি বিষধর সাপ ছোবল মারে। সাপের কামড়ে আর্তনাদ শুরু করে কিশোরী। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে একটি বালতিতে ভরে মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ছুটে যান পরিজনেরা। মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকের কাছে কাতর আবেদনও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সব রকম চেষ্টার পরেও বাঁচানো যায়নি কিশোরীকে।
মৃতার বাবা নিখিল ক্ষেত্রপালের কথায়, “সকাল ৭টা নাগাদ বাগানের ফুল গাছ থেকে ফুল তুলতে গিয়েছিল মেয়ে। সেই গাছের কাছেই একটা কাঠের গুঁড়ি ও কিছু টালি রাখা ছিল। সেখানে লুকিয়ে থাকা একটি বিষধর সাপ মেয়ের ডান পায়ে ছোবল মারে। পা দিয়ে ঝরঝর করে রক্ত ঝরে পড়ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মেয়ে ঝিমিয়ে পড়ে। কথাও বলতে পারছিল না। হাসপাতালে ভর্তি করিয়েও বাঁচানো গেল না।’’ রবিবারই কালনা হাসপাতালের মর্গে কিশোরীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।