Advertisement
E-Paper

সহায়ক মূল্য মিলল না, রাইস মিলের গেটেই কৃষকদের বিক্ষোভ

গত বছর এই ভাবে ধান কিনতে রাইস মিল দেরি করায় চাষিরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন। তা ছাড়া রাইসমিল কর্তৃপক্ষ নিজের খুশি মতো ধান থেকে খাদ বাদ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৫৫
বর্ধমানে কৃষকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

বর্ধমানে কৃষকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে রাইসমিলের গেটেই বিক্ষোভ দেখালেন কৃষকেরা। পূর্ব বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের চাণ্ডুলে শনিবার এলাকার চাষিরা ধান বিক্রির জন্য রাইসমিলের গেটে জমায়েত হন। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ গেট খোলেননি বলে অভিযোগ। দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করার পর বিক্ষোভকারী চাষিদের কয়েক জন মিলের দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে উৎপাদন বন্ধ করার চেষ্টা করেন। ফলে মিলের চারটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাগুপুর, ইউসুফাবাদ, ঢোলনা, নাটিয়াল, গ্রামগড়-সহ মোট ৭টি গ্রামের কৃষকরা শনিবার জমায়েত হন রাইস মিলের গেটে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সহায়ক মূল্যে এক জন কৃষক সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল বা ৭৫ বস্তা ধান বিক্রি করতে পারবেন। কুইন্টাল পিছু ধানের দাম ১ হাজার ৮৬৫ টাকা। একসঙ্গে উৎসাহ ভাতা হিসেবে আরও ২০ টাকা চাষি পাবেন প্রতি কুইন্টালে। এলাকার কৃষক শেখ নওসাদ বলেন, ‘‘রাইস মিল কর্তৃপক্ষ একবারে সব ধান নেবেন না। দু’খেপে চাষির কাছ থেকে ধান কিনবেন। আবার প্রতিদিন ৩০ জনের বেশি চাষি ধান বিক্রি করতে পারবেন না। তা হলে এখানকার হাজার হাজার চাষি কী করবে? তারা কোথায় যাবে? ধানই বা কোথায় রাখবে?’’ তাঁদের দাবি, সব ধান একবারেই কিনতে হবে।

গত বছর এই ভাবে ধান কিনতে রাইস মিল দেরি করায় চাষিরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন। তা ছাড়া রাইসমিল কর্তৃপক্ষ নিজের খুশি মতো ধান থেকে খাদ বাদ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এমনিতে সরকারি নিয়মে কুইন্টালে আড়াই কেজি খাদ বাদ দেওয়া হয়। রাইস মিল তার উপরেও আবার দু’তিন কেজি করে খাদ বাদ দিচ্ছে। তা হলে চাষিদের কী থাকবে? এমন প্রশ্নও ওঠে।

এ বিষয়ে রাইস মিলের ম্যানেজার অরিন্দম সাহস বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা ধান কিনেছি আগের বছর। সরকারি নিয়মের বাইরে আমরা ধান কিনতে পারি না।’’ তাঁর দাবি, প্রতি দিন ৪ হাজার কুইন্টাল ধান তাঁরা কিনবেন। কিন্তু এলাকার কৃষকরা তা মানছেন না। তাঁরা যে ভাবে প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছেন, তাতে ক্ষতি হবে বলে অরিন্দমের মত। তবে ধানের খাদ বেশি পরিমাণে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে চাষিদের যে অভিযোগ, তা তিনি অস্বীকার করেন।

Farmer Burdwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy