Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Chhath Puja

ছটের বাজার চড়া, আক্ষেপ ক্রেতার

ছটপুজোয় সব থেকে বেশি চাহিদা থাকে বিভিন্ন ধরনের ডালার। কাজেই এই সময় বহু মানুষ বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ডালা, ঝুড়ি, কুলো নিয়ে বাজারগুলিতে আসেন।

ছটপুজো উপলক্ষে কেনাকাটা। উখড়ায়।

ছটপুজো উপলক্ষে কেনাকাটা। উখড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:১০
Share: Save:

কালীপুজো ও দীপাবলির রেশ কাটতে না কাটতেই চলে এল ছটপুজো। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই পুজো। সেই উপলক্ষে বুধবার থেকেই বাজারে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফল থেকে ঝুড়ি, কুলোর দোকানেও ভিড় লেগেছিল। পুজোর বাজার বেশ চড়া বলে দাবি ক্রেতাদের। অবশ্য পুজোর আগের দিন বাজার ভাল হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।

ছটপুজোয় সব থেকে বেশি চাহিদা থাকে বিভিন্ন ধরনের ডালার। কাজেই এই সময় বহু মানুষ বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ডালা, ঝুড়ি, কুলো নিয়ে বাজারগুলিতে আসেন। বুধবার পানাগড় বাজারেও বহু বিক্রেতা এ সব সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। পানাগড়ে ডালা ৮০ টাকা থেকে শুরু। বিক্রেতারা জানান, সূর্য দেবতাকে অর্ঘ্য দেওয়া হয় কেবল মাত্র বাঁশের ডালাতেই। বর্তমানে বিক্রেতারা ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিভিন্ন গ্রাম থেকে ডালা নিয়ে আসছেন। তবে অনেকে জেলার নানা প্রান্ত থেকে স্থানীয়দের তৈরি ডালা এনে বিক্রি করছেন। এক বিক্রেতা অর্পণ বাদ্যকর জানান, ছটপুজোয় ডালার চাহিদা বাড়ে। বছরের অন্য সময় এই ডালা সে ভাবে বিক্রি হয় না। বুদবুদের ব্যবসায়ী মানিক বাদ্যকর বলেন, “ছটের জন্য ব্যবহৃত ডালার আকার ও মান অনুসারে দামের পরিবর্তন হয়।” এ দিন বাজার ঘুরে দেখা গেল ডালা ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভাল মানের ডালার দাম ১৬০ টাকা। ঝুড়ির দাম ১৫০ টাকা। ভাল মানের ঝুড়ির দাম প্রায় ৩০০ টাকা। ক্রেতারা জানান, গত বারের থেকে দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। পানাগড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, ঝাড়খণ্ড বা ওই এলাকা থেকে ডালা আনায় পরিবহণ খরচ অনেকটাই বেড়েছে। দুর্গাপুর বা স্থানীয় এলাকায় অনেকে ডালা তৈরি করলেও ওই এলাকার ডালা আকারে বড় ও কিছুটা মোটা হয়।

ছটপুজোয় প্রয়োজন হয় মাটির প্রদীপেরও। এ দিন সাধারণ মাটির প্রদীপ বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে। একটু বড় মাপের রঙিন প্রদীপ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা জানান, গত বছর প্রদীপ মিলছিল ৮০ পয়সা থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। দ্রব্যমূল্যের বাজারে এ বছর সামান্য বেড়েছে প্রদীপের দাম।

তবে ফলের দাম কয়েক দিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। এ দিন গোটা নারকেল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার মধ্যে। আতার কেজি প্রতি দাম ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কলা ডজন বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আপেল বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজিতে। এই পুজোয় প্রয়োজন হয় বড় আকারের লেবুর। এ দিন এর কেজি প্রতি দাম ছিল ১২০ টাকার মধ্যে। দুর্গাপুরের এক ফল বিক্রেতা সুরেশ শর্মা বলেন, “পর পর বেশ কয়েকটি পুজো গিয়েছে। ফলের জোগান খুব বেশি নেই। সে কারণে কিছুটা দাম বেড়েছে।” ছটপুজোর অন্যতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী হল গোটা আঁখ। এ দিন একটি আঁখের দাম ছিল ৫০ টাকার মতো। অন্য সময়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় মেলে। গাছ সমেত কাঁচা হলুদ এ দিন বিক্রি হয়েছে ৫ টাকা প্রতি পিস।

বাজার করতে আসা দীনেশ শাহ, হিতেশ শর্মারা বলেন, “কিছুটা সস্তা হবে বলে পুজোর এক দিন আগে বাজার করতে এসেছি। তবে খুব একটা সস্তা হল না।”

পানাগড় বাজার

ডালা: ৮০ থেকে ১৬০ টাকা।

ঝুড়ি: ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

প্রদীপ: ১ থেকে ২০ টাকা (সাধারণ)। একটু বড় মাপের রঙিন প্রদীপের দর ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

নারকেল: ৪০-৫০ টাকা (এক একটি)।

আতা: ১৫০ থেকে ২০০ টাকা (কেজি প্রতি)।

কলা: ৫০ থেকে ৬০ টাকা (ডজন)।

গোটা আঁখ: ৫০ টাকা।

গাছ-সহ কাঁচা হলুদ: ৫ টাকা (এক একটি)।

অন্য বিষয়গুলি:

chhath puja Chhath Puja 2024 market
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy