টিকটিকি মিলল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে। বুধবার খণ্ডঘোষ ব্লকের ছাতিমপুর গ্রামের এই ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। কয়েকজন অসুস্থ হন বলেও দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আধিকারিকেরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, এমনিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির বেহাল দশা। কর্মীরা অসর্তক ভাবে রান্নার কাজ করেন বলেই খাবারে টিকটিকি পড়েছে। সেই খাবারই শিশুদের খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। দীপালি বেগম, শেখ কাজলেরা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের রান্না খুব খারাপ। কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করেন না। বসে খাওয়ার পরিবেশও নেই।’’ এ দিন খাবার খাওয়ার পরে বেশ কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেও তাঁদের দাবি। খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একটি দল গিয়ে চিকিৎসা শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা আদার হোসেন মণ্ডলের দাবি, ‘‘অসচেতন ভাবে কাজ করার জন্যই এই ঘটনা। বড় বিপদ হতে পারত। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’
মাস কয়েক আগে জামালপুর, আউশগ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও খাবার নিয়ে অভিযোগ ওঠে। খাবারে সাপ পড়ায় কয়েকজন অসুস্থ হয়। বার বার এমন ঘটনায় চিন্তায় জেলা অঙ্গনওয়াড়ি দফতর। দফতরের একাংশের দাবি, কর্মী এবং সহায়িকাদের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়েও কেউ এ কাজ করতে পারেন। তবে খণ্ডঘোষের কেন্দ্রটি নিয়ে আগেও গাফিলতির অভিযোগ ছিল। কর্মীদের শো-কজও করা হয়। এ বার প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে, দাবি দফতরের কর্তাদের একাংশের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবার খেয়ে তিন শিশু অসুস্থ হয়েছিল। বমি হয় কয়েকবার। গ্রামে চিকিৎসকদের দল গিয়ে তাদের পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়। খণ্ডঘোষ ব্লক চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার লালেশ শর্মা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। কর্মী এবং সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা গিয়েছে, রেজিস্টার ঠিকমতো মানা হয়নি। কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)