প্রতীকী ছবি।
দলেরই নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলর। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরের ঘটনা। বিষয়টি তিনি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বলার পাশাপাশি, সামাজিক মাধ্যমেও একটি ‘পোস্ট’ করেছেন (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। তাঁর বক্তব্য, দলের তরফে উপযুক্ত বিচার না পেলে, আইনের পথে যাবেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই ঘটনায় দলের অন্দরে তুমুল ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয়েছে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে। দলীয় ভাবে তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ছিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটদান পর্ব মিটে যাওয়ার পরে, রাত প্রায় ৯টা নাগাদ আসানসোল পুরসভার ৭৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীমা মণ্ডল সামাজিক মাধ্যমে ছড়ার মতো করে দলের কিছু নেতা সম্পর্কে একটি ‘পোস্ট’ (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) করেন। সীমার বক্তব্য, “দলের কয়েক জন নেতা-কর্মী আমাকে চূড়ান্ত হেনস্থা করেছেন। তাই ওই পোস্ট করেছি।”
ওই নেত্রীর দাবি, তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই দলের একাংশ নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণ করছেন। উপনির্বাচনে তাঁর ওয়ার্ডে কত শতাংশ ভোট পড়েছে ও ভোট সম্পর্কিত নির্দিষ্ট কিছু তথ্য, ভোট মেটার পরে তাঁকে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সীমার অভিযোগ, “সে সব তথ্য জানানোর সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেন। প্রতিবাদ করলে, চূড়ান্ত হেনস্থা করা হয় আমাকে।” তিনি বলেন, “আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। নেতৃত্ব উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে, থানায় অভিযোগ করব।”
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হতেই দলের নেতৃত্বের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমিত সেন বলেন, “কাউন্সিলরের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। নেতৃত্বকে বিহিত করতে হবে।” দলের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের দাবি, “আমার কাছে তেমন অভিযোগ আসেনি। তবে শুনলাম যখন, খোঁজ নেব।” তবে দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে দলীয় তদন্ত শুরু করেছি। খুব অন্যায় কাজ হয়েছে। কাউন্সিলরকে সম্মান দেওয়া উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy