Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Pit

খনিতে নামার সময়ে ডুলি-বিপত্তি, ক্ষোভ শ্রীপুরে

প্রায় তিনশো ফুট নীচে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকলেন ২৩ জন কর্মী।

এই ডুলিতেই আটকে পড়েছিলেন ২৩ জন কর্মী। শ্রীপুর এরিয়ার চার নম্বর খনির ঘটনা। নিজস্ব চিত্র

এই ডুলিতেই আটকে পড়েছিলেন ২৩ জন কর্মী। শ্রীপুর এরিয়ার চার নম্বর খনির ঘটনা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫০
Share: Save:

ডুলির রসার (লোহার দড়ি) বাঁধন আলগা হয়ে যাওয়ায় খনিতে নামার সময় প্রায় তিনশো ফুট নীচে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকলেন ২৩ জন কর্মী। এর পরে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শ্রমিক সংগঠনগুলি খনি কর্তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা সেফ্‌টি অফিসার ও এক এজেন্টকে হেনস্থা করেন বলে থানায় পাল্টা অভিযোগ হয়েছে। রবিবার ইসিএলের জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়ার নিঘা চার নম্বর খনির ঘটনা।

ডুলির ঘটনা প্রসঙ্গে সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘হেনস্থা’র বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ ২৩ জন কর্মী ডুলিতে চেপে খনিতে নামছিলেন। এক খনিকর্মী চন্দ্রশেখর পাল জানান, তাঁরা প্রায় ৩০ ফুট নীচে স্বাভাবিক গতিতেই নামেন। তার পরে ডুলি দ্রুত গতিতে নামতে থাকে। প্রায় তিনশো ফুট দূরে গিয়ে থমকে যায় ডুলি। চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘যে ভাবে ডুলি নামছিল, ভেবেছিলাম খনির নীচে আছড়ে পড়বে। তারপর হঠাৎ ডুলি থেমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাই।’’

কেন এমন ঘটল? ডুলির অপারেটর মহম্মদ কাদির বলেন, ‘‘হঠাৎ ডুলির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছি না বুঝতে পেরে আপৎকালীন ব্রেক কষি। তাতেই ডুলি দাঁড়িয়ে যায়। তার পরে কর্মীদের ধীরে ধীরে উপরে তুলে নিয়ে আসা হয়।’’

খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে শ্রমিক সংগঠনগুলি কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তার জেরে এ দিন সারাদিন কাজ বন্ধ থাকে। তাদের অভিযোগ, খনির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তার গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাকে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কেকেএসসি নেতা সাধন রায়, আইএনটিইউসি প্রভাবিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডুলি নামানোর জন্য চারটি লোহার দড়ি থাকে। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘ওই লোহার দড়ি একটা সময়ের পরে পাল্টে দেওয়ার কথা। তা করা হয়নি। এ ভাবে বারবার ডুলি বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের শাস্তি হচ্ছে না।’’ এর উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতুলেছেন তাঁরা।

ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, একটি লোহার দড়ির বাঁধন আলগা হয়ে গিয়েছিল। তবে মূল দড়িটি ছিঁড়ে যায়নি। তাতেই ডুলি আটকে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ঠিক সময়েই দড়ি পাল্টানো হয়। তার পরেও কী ভাবে এমন হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pit Mine Lift Doolie Jamuria ECL
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE