ছাত্র সংসদে গুরুত্বপূর্ণ পদ না পেয়ে কলেজ চত্বরে দিনভর বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি সমর্থক একদল ছাত্র। তাঁদের দাবি, টিএমসিপি-র আর এক গোষ্ঠীর জমা দেওয়া প্যানেল অনুযায়ী অধ্যক্ষ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন। প্রতিবাদে অধ্যক্ষের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন রাজ কলেজের ওই ছাত্রেরা।
মঙ্গলবার ছাত্র সংসদ গঠনের অনুষ্ঠান ছিল রাজ কলেজে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারকেশ্বর মণ্ডলের সভাপতিত্বে পুরো অনুষ্ঠান হয়। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিশ্বজিত্ সিংহ, সহ-সভাপতি হিসেবে সায়ন সেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে শেখ আমানুল্লা-সহ ১৭ জনের একটি কমিটি ঘোষিত হয়। কিন্তু টিএমসিপি-র আর এক গোষ্ঠী কোনও পদ না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে সেখানে। ওই গোষ্ঠীর দাবি, গত তিন বছর ধরে সন্তোষ সিংহ ও পিকু ক্ষেত্রপালের গোষ্ঠী সাধারণ সম্পাদক ঠিক করছে। এ বার ওই পদটি তাঁরা চেয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁদের প্যানেল জমা দিতে না দিয়ে সংসদ গঠন করে দিয়েছেন। প্রত্যেককে পদের শংসাপত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে টিএমসিপি নেতৃত্বকে এই সংসদ বাতিলের দাবি জানানো হবে বলেও দাবি করেছেন ওই গোষ্ঠীর সুমন মল্লিক। তবে সন্তোষ সিংহ গোষ্ঠীর দাবি, সংখ্যাধিক্য ক্লাস প্রতিনিধিদের সমর্থন তাঁদের দিকে রয়েছে। তাই তাঁদেরই সংসদ গড়তে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। তিনি আরও জানান, কোন কলেজে কারা সংসদ গঠন করবে তা নিয়ে জেলা স্তরে একটি কমিটি তৈরি হয়েছিল। ওই কমিটি যাদের সাধারণ সম্পাদক করতে বলেছে তাদেরই নানা কলেজে জিএস করা হচ্ছে। এই কলেজও তার ব্যতিক্রম নয়।
অধ্যক্ষ তারকেশ্বর মণ্ডল বলেন, “কে কোন গোষ্ঠী করেন আমি জানি না। ৬৩ জনের মধ্যে ৪২ জনের ক্লাস প্রতিনিধির সই করা একটি প্যানেল আমার কাছে জমা পড়েছিল। সেই প্যানেলে যাঁদের পদ দিতে বলা হয়েছিল সংখ্যাধিক্যের বলে তাঁদেরই আমি পদ দিয়েছি। আমাকে তো সংখ্যাধিক্য মানতে হবে।” কলেজে অশান্তির খবর পেয়ে বর্ধমান থানা পুলিশও মোতায়েন করেছিল।
পরে টিএমসিপি-র শহর সভাপতি রাসবিহারী হালদারও বলেন, “শহরের প্রত্যেকটি কলেজে শান্তিতে জিএস নির্বাচন হয়েছে। ওই পদ নিয়ে রাজ কলেজে কেন অশান্তি হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy