চলন্ত বাসে যাত্রীকে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল আসানসোলে। শুক্রবার দুপুরে কাঁকড়সোল ও সাতাসার মাঝামাঝি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের পরে বাস থামিয়ে নেমে পালায় ওই দুষ্কৃতীরা। রাত পর্যন্ত পুলিশ তাদের নাগাল পায়নি।
বর্ধমানের এক চাল ব্যবসায়ীর কর্মী সুখেন্দু সামন্ত আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করেন, এ দিন তিনি কুলটির নিয়ামতপুরে কয়েকটি দোকান থেকে চাল বিক্রির বকেয়া টাকা সংগ্রহ করে দুপুরে দুর্গাপুরগামী একটি বাসে ওঠেন। বাসটি কাঁকড়সোল ও সাতাসার মাঝামাঝি পৌঁছতেই যাত্রী হিসেবে বাসে উঠে বসে থাকা জনা চারেক দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর শুরু করে। জোর করে বাস দাঁড় করিয়ে তাঁকে টেনে নামায়। তার পরে মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জেনেছে, যেখানে দুষ্কৃতীরা বাসটি দাঁড় করায় সেখানে আগে থেকেই মোটরবাইক রাখা ছিল। তারা তাতে চেপে বরাকরের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিত্ ঘোষ বলেন, “আমরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। ওই বাসের চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করছে।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এই ছিনতাই করেছে দুষ্কৃতীরা। তারা কোনও সূত্রে জানত, চাল ব্যবসায়ীর ওই কর্মী এ দিন বকেয়া সংগ্রহ করতে আসবেন। তাই তার কাছ থেকে কাঁকড়সোল ও সাতাসার মাঝামাঝি একেবারে ফাঁকা একটি জায়গায় টাকা ছিনতাই করার পরিকল্পনা আগে থেকেই কষে রেখেছিল। সেই মতো ওই কর্মী যে বাসে ওঠেন, তারাও যাত্রী সেজে তাতেই উঠেছিল। অপকর্ম সেরে নিশ্চিন্তে পালানোর জন্য আগে থেকে সেখানে মোটরবাইক মজুত করে রেখেছিল তারা।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনার পরেই গোটা এলাকায় নাকাবন্দি করা হয়েছে। সীমানা এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী সব গাড়ি পরীক্ষা করা হচ্ছে। শীঘ্র দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলা হবে বলে আশ্বাস পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy