Advertisement
E-Paper

মৃত্যু শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত যুবকের, খুনের অভিযোগ

গলায় চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত যুবক। রবিবার মৃত্যু হল তাঁর। আর তার পরেই যে বধূর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত তিনি, তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করলেন মৃতের স্ত্রী। দুর্গাপুরের রাতুড়িয়ার এই ঘটনায় ওই বধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৪ ০০:৩৬

গলায় চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত যুবক। রবিবার মৃত্যু হল তাঁর। আর তার পরেই যে বধূর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত তিনি, তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করলেন মৃতের স্ত্রী। দুর্গাপুরের রাতুড়িয়ার এই ঘটনায় ওই বধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মৃতের নাম হরি ঘোষ (৩৪)। বাড়ি মঙ্গলকোটের নিগন এলাকায়। অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে ওই বধূর উপরে চড়াও হওয়ার সময়ে হরি হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। তার পরে নিজেই নিজের গলায় তিনি ব্লেড চালান বলে এলাকাবাসী ও বধূর পরিবারের দাবি। এলাকার কিছু লোকজন তাঁকে মারধরও করেন। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রবিবার সন্ধ্যায় মৃতের স্ত্রী খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব। তিনি বলেন, “মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানায়, এ ছাড়াও বধূর শাশুড়ি-সহ পাড়ার দু’জনকে জেরা করা হচ্ছে। মহিলার স্বামী ও দেওরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, বধূর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে যখন ওই যুবক রাতুড়িয়ার ওই বধূর বাড়িতে গিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হন, বাধা দিতে ছুটে আসেন তাঁর দেওর। তখন তাঁর হাতে ব্লেড চালিয়ে দেন অভিযুক্ত যুবক। চিত্‌কার-চেঁচামেচি শুনে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এলে যুবকটি নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে দেন। বাসিন্দারা তাঁকে মারধর শুরু করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিত্‌সকেরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য যুবকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া যুবকের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়েছে। ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।

মৃতের পরিজনদের একাংশের দাবি, ওই মহিলা যুবকের পূর্ব পরিচিত। তবে আগে সম্ভবত তিনি রাতুড়িয়ায় আসেননি। তবে শনিবার হঠাত্‌ ওই যুবক কেন ওই বধূর বাড়িতে যান এবং তার পরে ঠিক কী হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। পুরো ঘটনার মধ্যে কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে জানিয়ে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ঠিক কী কারণে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিষ্কার হবে। তার উপরে তদন্তের বিষয়টি অনেকটা নির্ভর করবে।”

molestation accused death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy