প্রতীকী ছবি।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়ে বিএসএফ জানিয়ে দিল, তারা ‘অরাজনৈতিক’ বাহিনী। এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলের মহাসচিবের অভিযোগে বিএসএফ যে যথেষ্টই ক্ষুণ্ণ, বিবৃতিতে সেটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ-এর দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেওয়া। ২৪ ঘণ্টা সীমান্তে নজরদারি ও প্রহরার পাশাপাশি চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা, দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করার মতো কাজ করে তারা। সীমান্তবর্তী ক্যাম্পগুলিতেই বাহিনীর থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত হয়।
সেই বিএসএফ-কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠকের পর পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিজেপি বিএসএফ-কে গ্রামে গ্রামে পাঠাচ্ছে। জওয়ানরা গ্রামে ঢুকে একটি রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে।’’ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, কমিশন নিজস্ব পদ্ধতিতে এই অভিযোগ যাচাই করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
এর পরেই বিএসএফ-এর তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘বিএসএফ একটি পেশাদার নজরদারি বাহিনী। দেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে অতীতে এবং বর্তমানে নিষ্ঠা এবং কর্তব্যপরায়ণতার প্রমাণ বহু বার দিয়েছে বিএসএফ। আমরা সক্রিয় ভাবে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান রুখতে এবং এই ধরনের কার্যকলাপে যুক্তদের আইনি পথে বিচারের ব্যবস্থা করেছি’।
পার্থর নাম করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। বিএসএফ সব সময় আমৃত্যু তাদের কর্তব্যে একনিষ্ঠ’।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে বুধবারই রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার কমিশনের কর্তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংহের সঙ্গে। তার পর রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ফুল বেঞ্চ। ওই বৈঠকেই কমিশনে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy