দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কি ‘ধাম’ বলা যায়? এ হেন প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তবে মঙ্গলবার তারা সেই জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।
গত জুলাই মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল। মামলাকারীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ‘ধাম’ বলা হচ্ছে? জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে ‘ধাম’ শব্দটি জোড়ায় আপত্তি ছিল তাদের। চারধাম অর্থাৎ, বদরীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম এবং পুরীর ঐতিহাসিক এবং শাস্ত্রীয় স্বীকৃতি রয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষেত্রে তা নেই। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ‘ধাম’ বলার অর্থ ধর্মীয় ঐতিহ্যের বিকৃতির সমান। শুধু তা-ই নয়, সংবিধানের ২৫ এবং ২৬ অনুচ্ছেদে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। জুলাই মাসে মামলা দায়ের হলেও বার বার শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানায়, তারা এই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চায়। বিচারপতি পালের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়। তবে ভবিষ্যতে নতুন করে মামলা দায়ের করার সুযোগ পাবে তারা, জানায় হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্দিরের নির্মাণ থেকে শুরু করে উদ্বোধন পর্ব নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। শুধু ‘জগন্নাথধাম’ ব্যবহার করা নয়, দিঘার মন্দিরের ‘মহাপ্রসাদ’ নিয়েও আপত্তি ওঠে। ‘জগন্নাথধাম’ নাম ব্যবহারের উপর একচ্ছত্র অধিকার পেতে তৎপর পুরীর মন্দিরও। এমনকি, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতির ‘কপিরাইট’ নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে ওড়িশা সরকার।