ছাত্র ধর্মঘটে শামিল হওয়া পড়ুয়াদের থানায় তুলে এনে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর এই ঘটনায় এ বার হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে গত সোমবার রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সংগঠন এসএফআই। অভিযোগ, এই ধর্মঘটের সমর্থনে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছতেই কয়েক জন প্রাক্তন পড়ুয়াকে জোরজবরদস্তি থানায় তুলে নিয়ে যায় মেদিনীপুর মহিলা থানার পুলিশ। এই পড়ুয়ারা এসইউসিআই-এর ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র সদস্যা। অভিযোগ, থানার ওসি ওই পড়ুয়াদের মোমবাতি দিয়ে ছেঁকা দেন। বেল্ট দিয়ে মারার পাশাপাশি মেরে পুঁতে দেওয়ারও নাকি হুমকি দেন।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলার পরেই বৃহস্পতিবার তাঁদের আইনজীবী হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি ঘোষ।
আরও পড়ুন:
গত শনিবার যাদবপুরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে ঘিরে যখন বিক্ষোভ চলছে, সেই সময় মন্ত্রী আহত হন বলে অভিযোগ। জখম হন শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো দুই পড়ুয়াও। অভিযোগ, দুই পড়ুয়ার মধ্যে এক জনকে চাপা দিয়েছে মন্ত্রীর গাড়ি। অন্য জনের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে গিয়েছে। তার পর থেকেই উত্তাল রয়েছে যাদবপুর। ছাত্রকে মন্ত্রীর গাড়ি পিষে দিয়েছে এই অভিযোগ তুলে সোমবার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মঘট ডেকেছিল এসএফআই।