সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন আরও এক বাঙালি বিচারপতি। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম তাঁর নিয়োগে সিলমোহর দিয়েছে। আগামী দিনে দেশের প্রধান বিচারপতিও হতে পারেন বিচারপতি বাগচী।
সুপ্রিম কোর্টে রয়েছেন বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এ বার বিচারপতি বাগচীও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হলেন। কলেজিয়াম জানিয়েছে, ২০৩১ সালের ২৬ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হবেন বিচারপতি বাগচী। ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আলতামাস কবীর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তার পর থেকে কলকাতা হাই কোর্টের কোনও বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হননি। সব কিছু হিসাবমতো ঘটলে ছ’বছর পরেই দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন বিচারপতি বাগচী। হিসাব অনুযায়ী, ২০৩১ সালের ২৫ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের। তার পরেই দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন বিচারপতি বাগচী। ২০৩১ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন।
সাধারণত দেশের হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি বাগচীর ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা গেল। কলেজিয়ামের মতে, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিসকে মান্যতা দেওয়া হয়। বিচারপতি বাগচীর মধ্যে মেধা, সততা, কর্মদক্ষতা এবং অনেক বিষয়ে সঠিক ভাবনাচিন্তা তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত করতে সাহায্য করেছে।
হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি বাগচী ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। ২০১১ সালের ২৭ জুন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তিনি নিযুক্ত হন। ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টে বদলি করা হয়। আবার ওই বছরই ৮ নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে ফিরিয়ে আনা হয় বিচারপতি বাগচীকে।
বিচারপতি বাগচীকে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো ছাড়াও কলকাতা হাই কোর্টের আর এক বিচারপতি হরিশ টন্ডনকে ওড়িশা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করেছে কলেজিয়াম।