দুর্গাপুরের ঘটনায় বিজেপির ধর্নায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশকে আইন মেনে কাজ করতে বলল আদালত। দুর্গাপুরের ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’-এর ঘটনায় তিনি যেখানে পড়তেন, সেই মেডিক্যাল কলেজের সামনে ধর্না কর্মসূচি চালাচ্ছে বিজেপি। আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তারা ওই কর্মসূচি করতে চায়। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। মামলা করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। মঙ্গলবার বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের পর্যবেক্ষণ, যে জায়গায় ধর্না চলছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষের (আসানসোল, দুর্গাপুর অথরিটি) অনুমতি রয়েছে। ফলে আদালত ওই কর্মসূচিতে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আইন অনুযায়ী পুলিশকে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ ধর্না চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বিজেপি।
অন্য দিকে, দুর্গাপুরের মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা রয়েছে। এই অবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আদালত জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
দুর্গাপুরের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার সকালে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও ওই কর্মসূচিতে থাকার কথা। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যেতে চেয়ে বিজেপির তরফে আবেদন জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পুলিশের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, যে জায়গায় বিজেপি ধর্না চালাচ্ছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেই তাদের কাছে। বিজেপির তরফে আদালতে জানানো হয়, উদ্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ আসানসোল, দুর্গাপুর অথরিটির অনুমতি রয়েছে তাদের। তার পরে বিচারপতি দত্ত জানান, আদালত বিজেপির ওই কর্মসূচিতে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আইন মেনে কাজ করতে হবে পুলিশকে।
নির্যাতিতা ছাত্রী ওড়িশার বাসিন্দা। দুর্গাপুরের এক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তিনি। অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। রবিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পরে রবিবার রাতে এবং সোমবার বেলার দিকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া ‘নির্যাতিতা’র এক সহপাঠীও আটক রয়েছেন।