Advertisement
E-Paper

রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আদালত, ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাই কোর্টের

ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাই কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৩ ১৩:৪৭
কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তলব করা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদেরও। এর পরই মামলাটির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন বিচারপতি।

ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। তদন্তে আরও উঠে আসে যে, সাত জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। মামলকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং গোপা বিশ্বাস জানান, বুধবার এই মামলায় সিআইডির আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কিন্তু আদালত সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি। তাই ডিআইজি সিআইডিকে তলব করেছেন বিচারপতি।

বাবা প্রধানশিক্ষক। আর সেই স্কুলেই শিক্ষকের চাকরির জন্য জোচ্চুরি করছেন ছেলে। শুধু তাই-ই নয়, বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও নিয়েছেন। এমনই অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনুমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে। সেই মামলায় সিআইডিকে তদন্তভার দিয়েছিল হাই কোর্ট।

ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে বাবার স্কুলে চাকরি পান অনিমেষ। এবং সেই নিয়োগের সুপারিশপত্র দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। অভিযুক্ত অনিমেষের নিয়োগ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তখন জানায়, ওই নামে কোনও নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। সোমার অভিযোগ, তাঁকে বঞ্চিত করে ওই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। এর পরই এই মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

Calcutta High Court Suti Recruitment Case CID
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy