Advertisement
E-Paper

চোখ ছিঁড়ে দিতে পারি, হুমকি এ বার অভিষেকের

এ বার হুমকি তৃণমূলের যুবরাজের গলায়! তবে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল মাজি, তাপস পালদের মতো সরাসরি নয়। বরং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল ‘প্রচ্ছন্ন’ হমকি। সোমবার বসিরহাটে এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীকে নানা ভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। কারও নাম করে তিনি কিছু বলেননি ঠিকই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ০৩:০৯
মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে পাশে নিয়ে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসুও। সিন্ডিকেট এবং প্রোমোটারি করলে দলে জায়গা মিলবে না বলে সভায় বার্তাও দেন অভিষেক। সোমবার বসিরহাটে। ছবি: নির্মল বসু।

মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে পাশে নিয়ে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসুও। সিন্ডিকেট এবং প্রোমোটারি করলে দলে জায়গা মিলবে না বলে সভায় বার্তাও দেন অভিষেক। সোমবার বসিরহাটে। ছবি: নির্মল বসু।

এ বার হুমকি তৃণমূলের যুবরাজের গলায়! তবে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল মাজি, তাপস পালদের মতো সরাসরি নয়। বরং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল ‘প্রচ্ছন্ন’ হমকি।

সোমবার বসিরহাটে এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীকে নানা ভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। কারও নাম করে তিনি কিছু বলেননি ঠিকই। তবে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবকে কটাক্ষ করে হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলার মানুষকে চোখ দেখালে আমরা চোখ ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দিতে পারি। হাত দেখালে হাত কেটে দিতে পারি।’’ অবশ্য একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘মাথায় রাখতে হবে গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে। তাই মানুষের কোনও ক্ষতি হোক, এটা আমরা চাই না। শেষ কথা মানুষই বলেন।’’ বসিরহাটের প্রান্তিক মাঠে এ দিন ওই ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি-সভার আয়োজন করা হয়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অভিষেক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে কাজ করানো যাবে না। কোনও অবস্থাতেই তিনি বিরোধীদের কাছে মাথা নত করবেন না।’’ তার পরেই ওই বিতর্কিত মন্তব্য। তবে, তৃণমূল নেতাদের মুখে বিতর্কিত মন্তব্য এই প্রথম নয়। বছর কয়েক আগে শাসনের এক সভায় জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেছিলেন, ‘‘বিষাক্ত সাপেরা ঘরে ঢুকলে যেমন ব্যবহার করেন, সিপিএমের সঙ্গেও তেমনই করবেন। সামাজিক সংস্রব রাখবেন না। চায়ের দোকানে বসে চা খাবেন না। সামাজিক অনুষ্ঠানে যাবেন না। তা হলে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহিংসা নিতে পারবেন না।’’ তাপস পাল হুমকি দিয়েছিলেন, বিরোধী সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে ‘ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে’ দেওয়া হবে। দলের চিকিৎসক নেতা নির্মল রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁদের ‘‘জ্যান্ত পুতুল পোড়ানো হবে।’’ ওই চিকিৎসকদের অপরাধ ছিল, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।

কোনও ক্ষেত্রে‌ই অবশ্য তৃণমূলে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই প্রসঙ্গ টেনেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘তৃণমূলে এটাই সংস্কৃতি! বড় বড় হুমকি না দিলে ওই দলে যে বড় নেতা হওয়া যায় না।’’

abhisek bandyopadhyay threats abhisek bandyopadhyay speech tear eyes chop hands tmc threats abhishek threats abhisek threats
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy