টেটে সাতটি ‘ভুল’ প্রশ্ন নিয়ে হাই কোর্টে গেলেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি। ফাইল চিত্র।
স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের টেট ‘নিশ্ছিদ্র’ নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার্থীরাও আশা করেছিলেন যে, এ বারের টেট ‘বিতর্কমুক্ত’ হবে। কিন্তু টেট নিয়ে সেই প্রশ্ন উঠলই। আরও একবার সে বিতর্কের নিষ্পত্তির দায়িত্ব বর্তাল কলকাতা হাই কোর্টের উপরেই। টেটে ৭টি প্রশ্নে ভুল আছে, এই অভিযোগ তুলে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুক্লা ভট্টাচার্য-সহ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটির শুনানি হবে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, টেটের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে যে উত্তরপত্র প্রকাশিত হয়, তা মিলিয়ে তাঁরা দেখেছেন অন্তত ৭টি প্রশ্নে ভুল রয়েছে। বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্যই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। শিক্ষা শিবিরের একাংশের আশঙ্কা, হাই কোর্টের যদি এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেয় আর পর্ষদ ৭টি প্রশ্ন ভুল থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়, তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা আরও বাড়বে। কারণ সে ক্ষেত্রে ওই ৭টি প্রশ্নের উত্তর যে সব পরীক্ষার্থী দিয়েছেন, তাঁরা ভুল উত্তর দিলেও পুরো নম্বর দিতে হবে পর্ষদকে। তাতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
হাই কোর্ট সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই মামলাটি শুনতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক কালে প্রতিটি টেট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁরা আশা করেছিলেন নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের টেট বিতর্কমুক্ত হবে। তা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy