ছবিতে বাঁ দিক থেকে বিনীত গোয়েল, জ্ঞানবন্ত সিংহ, বীরেন্দ্র, সুপ্রতীম সরকার ও অনুজ শর্মা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পাঁচ আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কেড়ে নেওয়া হতে পারে তাঁদের যাবতীয় পুরস্কার এবং মেডেল। ওই পাঁচ আধিকারিককে গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেট্রো চ্যানেলের ধর্নাস্থলে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগকেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।
ডিজি বীরেন্দ্র, এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিনীত গোয়েল, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সুপ্রতীম সরকার এবং বিধাননগরের কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
মন্ত্রক সূত্রে খবর,কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি) এবং রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী যে মন্ত্রকেরকাছে যে রিপোর্টপাঠিয়েছেনসেখানে জানানো হয়,রাজীব কুমারের সঙ্গে রবিবার রাতে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ওই পাঁচ পুলিশ কর্তাকেও মমতার পাশে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা হলফনামা পেশ করতে পারেন রাজীব
এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনাররাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গএবং সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল ভাঙার অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।সার্ভিস রুলের নির্দেশিকা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুক্তি ছিল, একজন পুলিশ কর্তা কখনই কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। কেউ সেটা করলে তা সার্ভিস রুলের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কেন্দ্রের ওই চিঠি প্রসঙ্গে পাল্টা কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই দিন সন্ধ্যায় ধর্না মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহর উদ্দেশে তোপ দেগে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, পুলিশের পাশেই তিনি থাকবেন। তখনও অন্য পাঁচ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নেবে না ধরে নিয়েই ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলেমন্ত্রক সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে,ওই পাঁচ আইপিএস আধিকারিক চাকরি জীবনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে যে পদক পেয়েছেন প্রাথমিক ভাবে তা কেড়ে নেওয়া হবে। ওই পাঁচ জনের মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্রপতি পদকও পেয়েছেন। সেই পদকও কেড়ে নেওয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সংগঠনে কাজ করার জন্য ‘এমপ্যানেল’ থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে, ভবিষ্যতে রাজ্যের বাইরে কোনও পদে কাজ করার সুযোগ তাঁরাহারাবেন বলে প্রাক্তন পুলিশ কর্তাদের একটা বড় অংশের মত।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সম্পর্কে এ সব জানেন?
আরও পড়ুন: শিলংয়ে রাজীব কুমারের মুখোমুখি হবেন সিবিআইয়ের বাছাই ১০ অফিসার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। কয়েক দিনের মধ্যেই চিঠি পাঠানো হবে রাজ্যকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে যদিও মুখ খোলেনি নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি পেলে তবেইরাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy