কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দফতরের বাইরে রয়েছেন বাঁ দিক থেকে দোলা সেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দফতরের বাইরে বসে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলেরা নেতারা। বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় গ্রামীণ প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না। এই পরিস্থিতিতে নেতাদের বসিয়ে রেখেই বেরিয়ে চলে গেলেন জ্যোতি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে এসেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বেরিয়ে চলে গিয়েছেন।
মঙ্গলবার যন্তর মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তখন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট। অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের কাঁধে ছিল বাংলার মানুষের নিজেদের দাবি জানিয়ে লেখা চিঠি। কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। সেই মতো মন্ত্রীর দফতরের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন তাঁরা।
দফতরের ভিতর থেকেই ফেসবুক লাইভে তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, সময় দিয়েও দেখা করছেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কখন তিনি দেখা করবেন, কথা বলবেন, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না বলে দাবি কল্যাণের। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বলেন, ‘‘মন্ত্রীর কথাতেই সময় বদলেছিল। এখন তিনিই দেখা করছেন না। দেখা করবেন কি না, তা-ও বলছেন না। তবে আমরা দেখা না করে যাব না।’’
শেষে মন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি দেখা করতে পারছেন না। যদিও অভিষেক জানিয়ে দেন, তাঁরা দেখা না করে যাবেন না। বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া তাঁরা তুলে ধরবেন। কৃষি ভবনের ভিতর থেকে ভিডিয়োবার্তায় অভিষেক অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করার পরেই এই কৌশল নিয়েছেন। তৃণমূলের সাংসদ আরও বলেন, ‘‘মন্ত্রী বলেছেন, দেখা করবেন না। আমরাও বলছি, দেখা না করে এখান থেকে যাব না।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জব কার্ড নিয়ে বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ তছরুপ হয়েছে। এই নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করে চিঠি দেন তিনি। অভিষেকের অভিযোগ, তার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন না।
প্রথমে স্থির ছিল, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের ডেপুটি জ্যোতি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুপুর ১২টায় দেখা করবেন। পরে সেই সময় পরিবর্তিত হয়। যে কারণে যন্তর মন্তরে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিও সকাল ৯টার বদলে শুরু হয় দুপুর ১টার সময়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy