Advertisement
E-Paper

‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য সঠিক নয়’! ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে পাল্টা ‘পরিসংখ্যান’ দিলেন মোদীর জলশক্তি মন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার রাতে জানিয়েছিলেন, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র অভিযোগ মানল না।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০১

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পুজোর মরসুমে কেন রাজ্য সরকারকে না-জানিয়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) জল ছেড়েছে, শুক্রবার সে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সংস্থাটি ‘ইচ্ছাকৃত এবং একতরফা ভাবে’ জল ছেড়ে বাংলাকে বিসর্জন দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। শনিবার কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল সেই অভিযোগকে খারিজ করলেন। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা শুক্রবার রাতে জানিয়েছিলেন, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছেন। কিন্তু মোদীর রাজ্যের বিজেপি নেতা পাতিলের মন্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, প্রকৃত জল ছাড়ার পরিমাণ তার অর্ধেকেরও কম।’’ ‘ডিভিসি রেগুলেশন কমিটি’-র থেকে প্রাপ্ত ‘তথ্যের’ উদ্ধৃতি দিয়ে পাতিলের দাবি, মাইথন জলাধার থেকে ৪২৫০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ২৭৫০০ কিউসেক-সহ মোট ৭০০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে সেই ‘তথ্য’ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘এটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক নয়, যেমনটি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন।’’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে একটি পোস্ট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘‘বিজয়া দশমী দুর্গাপুজোর সমাপ্তি। আনন্দ, উল্লাস এবং নতুন আশার সময়। তবুও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে শান্তিতে উৎসব শেষ করতে দেওয়ার বদলে, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ রাজ্যকে কোনও আগাম বার্তা না-দিয়ে ৬৫০০০ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছেন।’’ এর পরই দাবি করেছিলেন, মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে আগাম আলোচনা না করে আচমকা জল ছাড়ার অভিযোগ সম্পর্কে কোনও সাফাই দেননি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা আবার জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনিতে গত দু’দিন ধরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে অনবরত বৃষ্টি হয়েছে। সেই জলও মিশছে দামোদর নদে। ফলে দুর্গাপুরে রাজ্য সেচ দফতরের জলাধারেরও জলধারণ ক্ষমতাও পেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলি জেলায় দামোদর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি হয়েছে।

Damodar Valley Corporation DVC Panchet Maithan Flood Like situation CM Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy