রাজ্যের কারা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি যে আর্জি জানিয়েছিল, তা খারিজ করে দিল আদালত। চন্দ্রনাথের জামিন আপাতত বহাল থাকছে। তবে আরও দু’দিন মন্ত্রীকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রনাথের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তিনিই প্রথম মন্ত্রী, যাঁর বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল। কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর চন্দ্রনাথ বিচারভবনে ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন করেন। ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বীরভূমের বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ককে কিছু শর্ত মানতেও বলেছিল আদালত। বুধবার বিচারভবনের নির্দেশ, চন্দ্রনাথের জামিনই বহাল থাকবে। এই মুহূর্তে ইডি তাঁকে হেফাজতে নেবে না। তবে মন্ত্রীকে ইডি দফতরে যেতে হবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর এবং ২৬ সেপ্টেম্বর)।
আরও পড়ুন:
দফতরে চন্দ্রনাথকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলা নিয়ে দু’দিন জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। এর পর যদি তারা মনে করে, আবার মন্ত্রীকে ডাকা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। বুধবার আদালতের রায়ের পর চন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘বিচারব্যবস্থার উপর আমার আস্থা আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।’’ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দিন ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রনাথ।
এর আগে ইডি চন্দ্রনাথের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেখান থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। পরে দু’বার ইডির দফতরে হাজিরা এড়ান চন্দ্রনাথ। গত মাসে হঠাৎই তিনি আবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন। তবে তখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। তার আগেই ইডি চার্জশিট দিয়ে দিয়েছিল। এর পর চন্দ্রনাথ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ব্যক্তিগত ১০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল। সেই নির্দেশই বহাল থাকল। এতে পুজোর মুখে আপাতত স্বস্তি পেলেন মন্ত্রী। যদিও আদালত জানিয়েছে, জামিন পেলেও আপাতত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এবং কলকাতার বাইরে আর কোথাও যেতে পারবেন না মন্ত্রী। যত দিন এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ না-হচ্ছে, তত দিন এই নিয়ম মানতে হবে।