মাস দুয়েকের শিশুকে কাজের মেয়ের জিম্মায় রেখে পাশের ঘরে মেয়েকে খাওয়াচ্ছিলেন পুলিশ অফিসারের স্ত্রী সান্ত্বনা বিশ্বাস।
বহরমপুর স্টেশন লাগোয়া পুলিশ কোয়ার্টার ‘পদ্মা হাউজিং’।
যে ঘরে সান্ত্বনারা ছিলেন, সেটির দরজা ভেজানো ছিল। মেয়েকে খাইয়ে বেরোতে গিয়ে তিনি দেখেন, বাইরে থেকে শিকল তোলা। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে দেন। বেরিয়ে সান্ত্বনা দেখেন, কাজের মেয়েটি উধাও, শিশুটিও নেই।
খোদ পুলিশের ঘরে চুরি!
সোমবার দুপুরে ফোন ছোটে এ থানা থেকে ও থানা, এ ফাঁড়ি থেকে ও ফাঁড়ি। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে রাস্তা থেকেই ধরা পড়ে যায় জুঁই দাস নামে ওই মহিলা। তার কাছেই ছিল শিশু। জুঁইকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি বহরমপুর শহর ঘেঁষা বলরামপুরে। বহরমপুর থানার আইসি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা দুলালচন্দ্র বিশ্বাস লালবাগ আদালতের জিআরও (জেনারেল রেকর্ড অফিসার)। এর আগে তিনি নবগ্রাম থানার ওসি ছিলেন। স্ত্রী, সাত বছরের মেয়ে আর দু’মাসের ছেলেকে নিয়ে থাকেন ‘পদ্মা হাউজিং’-এর দোতলায় ‘এস ৩’ কোয়ার্টারে। জুঁই দাস নামে মধ্য তিরিশের ওই মহিলা দিন পনেরো আগে তাঁদের বাড়িতে কাজে ঢুকেছিলেন।
এ দিন সকাল ১০টার আগেই লালবাগ আদালতে চলে গিয়েছিলেন দুলাল বিশ্বাস। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শিশু চুরির ঘটনা ঘটে। সান্ত্বনা বলেন, ‘‘দরজায় শিকল তোলা দেখে ‘জুঁই! জুঁই!’ বলে অনেক চেঁচিয়েছি। সাড়া পাইনি। শেষে পাশের কোয়ার্টার থেকে লোক এসে দরজা খুলে দেয়। বেরিয়ে দেখি, সব ভোঁ-ভাঁ!’’
জুঁই নামে ওই মহিলা এমন কাণ্ড ঘটাল কেন? দরজায় শিকল তুলে শিশু নিয়ে পালালে যে ধরা পড়বেই, তা কি সে বুঝতে পারেনি? শিশু চুরি করবে বলেই কি সে কাজে ঢুকেছিল, নাকি হঠাৎই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে? পুলিশ জানায়, গভীর রাত পর্যন্ত জেরা চলছে। তা শেষ হলেই সব স্পষ্ট হবে। বাড়িতে কাজের লোক রাখার সময়ে থানায় তাঁদের নাম-ঠিকানা নথিভুক্ত করাতে পরামর্শ দেয় পুলিশ। এ ক্ষেত্রে তা করানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নেরও সদুত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy