—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, সিনেমা হল বন্ধ। কিন্তু সামান্য মজুরি নিশ্চিত করার জন্য বিন্দুমাত্র সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের অজস্র শ্রমিককে। তাঁদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ও আর্থিক সহায়তার দাবি তুলল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর মাধ্যমে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠালেন আইএনটিইউসি, সিটু, এআইটিইউসি-সহ শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্ব।
পরিবহণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের শ্রমিক-সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাঁদের জন্য স্যানিটাইজার, মাস্ক বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য-সুরক্ষার ব্যবস্থাই নেই। সতর্কতামূলক ব্যবস্থার আওতায় সাধারণ শ্রমিকদের নিয়ে আসা এবং আক্রান্তদের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের হদিশ, লন্ডনফেরত তরুণের শরীরে কোভিড-১৯
সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, করোনা সতর্কতার কারণে যাঁদের কাজ বন্ধ থাকছে বা ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের আর্থিক সহায়তার দাবিও সরকারের কাছে তাঁরা করছেন। রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখন আলু তোলার কাজ চলছে। আলু চাষি, মুটিয়া, পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য তাই হিমঘরেই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালুর দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র।
গ্লাভ্স, মাস্ক, অ্যাপ্রন, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা তাঁদের জন্য নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ছে এএনএম নার্সদের জয়েন্ট ফোরাম। কাজে না গেলে যাঁদের আয় নেই, সেই সব সাধারণ শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুরদের জন্য সরকারি ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং পিডিএসের রাজ্য সভাপতি সমীর পূততুণ্ডও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy