Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Chandannagar

করোনার হানা চন্দননগরেও

সংক্রমণের কথা জানতে পারার পর শনিবার রাত থেকেই প্রশাসনিক স্তরে নড়াচড়া শুরু হয়।

বন্ধ: গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে এলাকা। রবিবার চন্দননগরে। ছবি: তাপস ঘোষ

বন্ধ: গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে এলাকা। রবিবার চন্দননগরে। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০২:৩৮
Share: Save:

রেহাই পেল না চন্দননগরও।

এ বার করোনা হানা দিল এ শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উর্দিবাজার (এলাকাটি ওই ওয়ার্ডে) এলাকায় কয়েকজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তা যাতে আর না ছড়ায়, সে জন্য প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। বজ্রআঁটুনি দেওয়া হয়েছে পাশের ওয়ার্ডেও। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে।

বস্তুত, সংক্রমণের কথা জানতে পারার পর শনিবার রাত থেকেই প্রশাসনিক স্তরে নড়াচড়া শুরু হয়। ওই ওয়ার্ড এবং পাশের ১১ নম্বর ওয়ার্ডকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বেঁধে ফেলা হয়। দুই ওয়ার্ডের মানুষ যাতে অকারণে বাইরে না বের হন, সেই কারণে এই বিশেষ ব্যবস্থা বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

তিন আক্রান্তের মধ্যে এক জন চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ‘মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ড’-এ ভর্তি ছিলেন। সংক্রমণ আটকাতে রবিবার থেকে ওই ওয়ার্ডটি বন্ধ করে স্যানিটাইজ় করার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানকার দুই চিকিৎসক, কয়েক জন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

চন্দননগরের পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সব ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থা অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার সকাল থেকে ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ‘সিল’ করা হয়। মোড়ে মোড়ে নজরদারি শুরু করে পুলিশ। কেউ যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় না বের হন, সেই আবেদন জানানো হয়। উর্দিবাজার, খানসামাগলি, চুনাগলি, ঝাউবাগান, কুটির মাঠ, বড়বাজার এলাকার সব দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, রেশন দোকান খোলা থাকছে। সেখানে শারীরিক দূরত্ব মেনে গ্রাহকদের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।

১১ নম্বর ওয়ার্ডের গঞ্জের বাজার কয়েক দিন আগেই হাসপাতাল মাঠে সরানো হয়েছে। ‘সিল’ হওয়া এলাকার লোকজনের প্রতি প্রশাসনের আধিকারিকদের বার্তা, খাদ্যসামগ্রীর অভাব হবে না। আজ, সোমবার থেকে ভ্যানে করে আনাজ এবং মাছ নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় যাবেন বিক্রেতারা। ফলে, বাড়ির সামনেই প্রয়োজনীয় জিনিস মিলবে।

রবিবার দুই ওয়ার্ডকেই স্যানিটাইজ় করা হয়। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা চারটি দলে ভাগ হয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন জ্বর, সর্দি-কাশির তথ্য সংগ্রহ করতে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, কারও অসুস্থতার লক্ষণ ধরা পড়লে নির্দিষ্ট জায়গায় চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar Coronavirus in Howrah-Hooghly Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE