E-Paper

দুর্নীতির চক্র ভাঙতে হবে, সরব সিপিএম

পুলিশের উপরে আদালত, নির্বাচন কমিশন বা সাধারণ মানুষ কারওরই আস্থা নেই বলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৩
picture of md selim.

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ফাইল চিত্র।

শুধু নানা জায়গা থেকে এক এক জনকে ধরে এনে হইচই নয়। দুর্নীতি-দুষ্কৃতীর গোটা চক্রই ভাঙার দাবিতে ফের সরব হল সিপিএম। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্য, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষদের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে শোরগোল চলছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে প্রভাবশালী যোগের সূত্রে চর্চায় এসেছে কালীঘাটের ‘কাকু’র কথা।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, ‘‘যে সব নাম বলা হচ্ছে, তাদের শিক্ষা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাছাই করে বসানো হয়েছে দুর্নীতির চক্র চালানোর জন্য! বাবা-ছেলে বা কাকু না বলে ইডি এবং সিবিআই-কে বলতে হবে, কয়লা পাচার থেকে শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির মাথারা কবে ধরা পড়বে?’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘তদন্ত না এগোলে বাংলার মানুষ উত্তর থেকে দক্ষিণ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এককাট্টা হয়ে অপরাধীদের শাস্তি দেবেন। তাই বামপন্থীরা স্লোগান তুলেছে চোর ধরো, জেলে ভরো। না পারলে গ্রাম-শহর জাগাও, চোরেদের তাড়াও!’’

পুলিশের উপরে আদালত, নির্বাচন কমিশন বা সাধারণ মানুষ কারওরই আস্থা নেই বলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ। আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে জেলে রেখে দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের বিচারপতিও যে প্রশ্ন তুলেছেন, সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন সেলিম।

রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য এ প্রসঙ্গে পাল্টা বলেছেন, ‘‘গত ২০১১ সাল থেকে মানুষ বারবার উত্তর থেকে দক্ষিণে সিপিএমের অপশাসন, দুর্নীতি ও ভুল রাজনীতির শাস্তি দিয়েছে। শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া একটা দলকে নিয়ে ভাবতে হবে না! এখানে যা ভুল ত্রুটি হয়েছে, সরকার এবং দল তা শুধরে এগোতে পারবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPM Md Selim

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy