বিজেপি-র বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সুর চড়িয়েছেন, সেই সময়েই সংখ্যালঘু-অস্ত্রে তাঁর সরকারকে পাল্টা বিঁধছে সিপিএম। ভাঙড়ের ঘটনা এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংক্রান্ত বিধানসভার স্থায়ী কমিটির রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তাদের অভিযোগ, মুখে সংখ্যালঘু-দরদের কথা বললেও তৃণমূল জমানায় সংখ্যালঘুরা দুর্দশাতেই আছেন।
ভাঙড়ে আন্দোলনকারীদের উপরে কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। অবরুদ্ধ গ্রামগুলিতে চাল, চিনি, আটা পৌঁছে দিতে আজ, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে যাচ্ছেন সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বাম বিধায়কদের প্রতিনিধিদল। আলিমুদ্দিনে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক সত্ত্বেও সময় বার করে ভাঙড়ে যেতে পারেন পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানেরও। সেলিম বুধবার বলেন, ‘‘রমজানের সময়ে সংখ্যালঘু এলাকার মানুষগুলো গ্রামের বাইরে বেরোতে পারছেন না। বাজারে সব্জি বেচতে গেলে আরাবুল বাহিনী হামলা করছে, পুলিশ মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। অবরুদ্ধ এলাকায় গিয়ে রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে আসব।’’ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে গিয়ে মঙ্গলবার একই কাজ করে এসেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরই পাশাপাশি, বিধানসভার সংখ্যালঘু বিষয়ক স্থায়ী কমিটি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে-থাকা ওই দফতরের জন্য বাজেটে যা ঘোষণা হয়েছিল, গত আর্থিক বছরে সংশোধিত বরাদ্দ হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম। সেই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সেলিম বলেন, ‘‘সংশোধিত বরাদ্দ ১৬১৯ কোটি টাকার মধ্যে সদ্ব্যবহার হয়েছে মাত্র ১৯৬ কোটি! বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। এ সব শব্দ কোনওটাই আমাদের নয়, রিপোর্ট বলছে!’’ ওই কমিটির চেয়ারম্যানও তৃণমূলের বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy