বইমেলায় সিপিএমের যুব সংগঠনের মুখপত্রের স্টলে দুই নেতা মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র ফাইল চিত্র।
রাজ্য থেকে লোকসভায় ও বিধানসভায় দলের এখন কোনও প্রতিনিধি নেই। তরুণ বাহিনীকে মাঠে নামিয়েই জমি উদ্ধারের লক্ষ্যে লড়াই চালাচ্ছে সিপিএম। এ বার দলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রেও তার প্রতিফলন ধরা পড়ল। রাজ্যে সিপিএমের নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি বাড়ল প্রায় ১০%।
দলের সদস্যপদের পুননর্বীকরণ এবং নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির যে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চলছে, তার পর্যালোচনা হয়েছে সিপিএমের এ বারের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠকে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, নতুন সদস্য বেড়েছে ১০ হাজারের বেশি। গত কয়েক বছরে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির হারের তুলনায় যা প্রায় ৪০% বেশি। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, অতিমারি মোকাবিলার সময়ে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ হিসেবে বা অন্য ভূমিকায় নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কাজ করেছিলেন। দলের সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করার যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, তার অনেকটা ফল মিলছে। প্রসঙ্গত, গত বছর পার্টি কংগ্রেসে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে সিপিএমের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় এক লক্ষ ৬০ হাজার। বৈঠক শেষের পরে বুধবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘নতুন ও পুরনোদের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই এগোতে চাইছি।’’
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ও তৃণমূলের বাইরে সব দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে একজোট করার লক্ষ্যে জেলা স্তরে উদ্যোগী হওয়ার বার্তাই এ দিন রাজ্য কমিটির জবাবি ভাষণে দিয়েছেন সেলিম। সংগঠনকে সর্বাত্মক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। তারই পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতায় প্রশান্ত শূরের নামে একটি কলেজের পরিচালন সমিতিতে তহবিল তছরুপের অভিযোগে টালিগঞ্জের গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেহালার পার্থ দাস, এই দুই নেতাকে ৬ মাসের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গড়া রাজ্য দলের তদন্ত কমিশন যা সুপারিশ করেছিল, তা-ই অনুমোদন করেছে রাজ্য কমিটি।
সেলিম এ দিন জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে সংহতি জানাতে কলকাতায় মিছিল হবে সোমবার। হাওড়ায় ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি আসার কথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। পুলিশ এখনও সমাবশের অনুমতি দেননি। সেলিমের হুঁশিয়ারি, ‘‘সে দিন আমরা সমাবেশ করব। যে রাজ্য সরকার এত গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা কী করে, দেখা যাক!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy