Advertisement
E-Paper

মা সুস্থ, পাঁচ সদ্যজাতর মধ্যে জীবিত দু’জনও আশঙ্কাজনক

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০২
রুবিনা বেগম। নিজস্ব চিত্র

রুবিনা বেগম। নিজস্ব চিত্র

একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেওয়া মা রুবিনা বেগম সুস্থ থাকলেও দুই সদ্যজাতের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভোরে একসঙ্গে পাঁচটি শিশু প্রসব করেন চ্যাঙরাবান্ধার রুবিনা বেগম। ওই হাসপাতালেই দুই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন সদ্যজাত সহ রুবিনাকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি রয়েছেন রুবিনা। আর সদ্যজাতদের চিকিৎসা চলছে এই হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে। দু’ বছর আগে ধূপগুড়ির মল্লিক পাড়ার রুবিনার সঙ্গে মকসেদ মহম্মদের বিয়ে হয় বলে জানান রুবিনার কাকা ফজলুল হক। এবারই প্রথম প্রসব রুবিনার। শুক্রবার রুবিনার স্বামী মকসেদ বলেন, ‘‘পাঁচটি শিশুকন্যার জন্ম দিলেও এখন দু’টি জীবিত আছে। ওই দুই শিশুকে বাঁচাতে চাই।’’

হাসপাতালের এসএনসিইউ-র কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ‘‘সদ্যোজাতদের ওজন খুবই কম। ৩৬০ গ্রাম ওজনের সদ্যজাতের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। বর্তমানে ৫৭০ এবং ৫৮৫ গ্রাম ওজনের দুই সদ্যোজাতর চিকিৎসা চলছে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নেমে যাওয়ায় দু’জনকেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছে। ভেন্টিলেশনের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। এখানে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওই দুই সদ্যজাতকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার বিষয়েও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন।’’

জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘২২ শয্যার জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই। কারণ, এটাই নিয়ম। এনআইসিইউ এবং পিআইসিইউ কেবলমাত্র মেডিক্যাল কলেজেগুলিতে রয়েছে। তবে আমরা শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি রাখছি না।’’

জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ জানান, প্রায় চার বছর আগে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে এক মা একসঙ্গে চারটি শিশু প্রসব করেছিলেন। প্রসবের দিনকয়েক পর সুস্থ অবস্থায় চার সন্তান-সহ ওই মা বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনার নজির যদিও যথেষ্ট কম। তবে কম ওজনের এই শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। যদিও ডাক্তারি পরিভাষায় সেটি যথেষ্ট কষ্টকর।

Health Newborn
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy