মগরাহাটের সভায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। বৃহস্পতিবার মগরাহাটের মুলটিতে একটি জনসভায় দিলীপের হুঙ্কার, ‘‘সবাইকে দেখে নেব।’’
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সমর্থনে মুলটির সভায় যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তৃণমূলকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, ‘‘কয়েকটা পুলিশ আছে, তাই চিংড়ি মাছের মত লাফাচ্ছে। কিন্তু কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। বহু লোককে সিধে করেছি আমরা। বিহার, উত্তরপ্রদেশের বড় বড় মাফিয়া গুন্ডারা এখন কোথায়? হয় জেলে, না হয় রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তারা এখন দিদির ছাতার তলায় এসে চমকাচ্ছে। সবাইকে দেখে নেব।’’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশ থাকলে চলবে না। প্রত্যেক বুথে ও আশেপাশে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ চোখ রাঙালে আমাদের বলুন, তার ব্যবস্থা করব। সারা দেশে জিতেছি। এবার বাংলাতে ও জিতব।’’
গত ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারের পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে হুঁশিয়ারির সুরে দিলীপ বলেন, ‘‘যারা নাড্ডার গাড়িতে ইট মেরেছিল, তাদেরকে বলে রাখুন, যদি বাড়ির ভাত খেতে চাও তা হলে ভদ্রলোক হয়ে যাও।’’
জনসভা থেকে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। বৃহস্পতিবারই নতুন দলের ঘোষণা করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ বলেন, ‘‘আব্বাস সিদ্দিকি দল করছে। আসাদউদ্দিন মিম গড়েছে। তাতে নাকি দিদির হার্টবিট বেড়ে গিয়েছে। সুগার বেড়ে যাচ্ছে।’’
দিলীপের সভার পর বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা শক্তি মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ওদের (বিজেপি) কথা সবাই জানে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। দিনেদুপুরে মহিলারা ধর্ষণের শিকার হন। ওরা বাংলায় লোক ভাড়া করে আনছে। আর হিংসা বাধানোর চেষ্টা করছে। আসাদউদ্দিন-আব্বাসদের নিয়ে মিষ্টি করে কথা বলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy