ফাইল চিত্র।
হাসপাতালে শয্যা বাড়ালেই তো হয় না। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কথাও ভাবতে হয়। তাঁদের অনেক কাজ। নতুন করে আর চাপ দেবেন না। শুক্রবার বিধানসভায় দলীয় বিধায়ক জটু লাহিড়ীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন যে-দফতর নিয়েই হোক, মন্ত্রীর উত্তর তাঁর কাছে পরিষ্কার না-হলে নিজেই খোলসা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারেও তার প্রমাণ মিলল। খাদ্য দফতরের বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অতিরিক্ত প্রশ্ন আসতেই নিজের আসনে মাইকের সামনে উঠে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। একের পর আসা প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েই।
স্বাস্থ্য দফতর বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। হাওড়া হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর আর্জি জানান জটুবাবু। চন্দ্রিমা কিছু বলার আগেই মাইক টেনে নেন মমতা। বলতে থাকেন, ‘‘কোথায় বাড়াবেন শয্যা? মেদিনীপুরে, পিজিতে দেখেছি শয্যার থেকে রোগী অনেক বেশি। শয্যা এক হাজার। রোগী দেড় হাজার। রোগীর ভিড়ে হাসপাতালে হাঁটা যায় না।’’ পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান, শুধু রাজ্যের রোগী নয়, ঝাড়খণ্ড, বিহার, নেপাল, বাংলাদেশ থেকেও রোগী আসেন কলকাতায়। এখানে বিশ্বের নামী চিকিৎসকেরা সারা ক্ষণ কাজ করছেন। ‘‘ডাক্তারেরাও মানুষ। তাঁরা তো যন্ত্র নন। মানবিক দিকটা বুঝবেন। অনুরোধ করছি, তাঁদের সাহায্য করুন,’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানান, সরকারের যতটা করার করছে। অনেক চিকিৎসক দরকার। বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদেরও দিনে অন্তত দু’ঘণ্টা করে সময় দিতে অনুরোধ জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy