বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফাইল চিত্র।
পুজোর আনন্দ গায়ে মাখার শেষ দিনেও কি ডোবাবে বৃষ্টি? নবমীর সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ কলকাতায়। একেবারে যাকে বলে ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে…’। কিন্তু বেলা গড়ালে কি মুখভার হতে পারে শহরের আকাশের? মাটি হতে পারে ঠাকুর দেখার আনন্দ? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ ছাড়া বাকি কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে আশা করা যাচ্ছে, নবমীর ঠাকুর দেখার আনন্দে শহরে সে ভাবে জল ঢালতে পারবে না ‘অসুর’ বৃষ্টি। সপ্তমী, অষ্টমীতেও দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আশঙ্কা থাকছে উত্তরের জেলাগুলিতে। নবমীতে উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং, কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকার কারণে মঙ্গল ও বুধবার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপটি ক্রমশ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে সরে যাবে। যার প্রভাবে দুর্যোগের আশঙ্কা অনেকটাই কাটবে। বিজয়া দশমীর পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy