দেশে ২০০ বেশি জেলা জুড়ে এই সমীক্ষা চালায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাতে যে সব জেলা ২০১৫ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি যক্ষ্মা রোগ নিবারণ করতে সক্ষম হয়েছে সেই সব জেলাকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। আগামী সমীক্ষার জন্য রাজ্যের ১২টি জেলার নাম পাঠানোর পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতীকী ছবি।
যক্ষ্মা রোগ নিবারণ কর্মসূচিতে সাফল্য রাজ্যের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর স্বর্ণ পদক এবং নদীয়া ব্রোঞ্জ জিতেছে বলে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে। ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে দিল্লিতে রাজ্যকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানান স্টেট টিবি অফিসার বরুণ সাঁতরা।
বিশ্বে মোট যক্ষ্মা রোগীর অধিকাংশই ভারতে বসবাস করেন। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে যক্ষ্মা নির্মূল করার শপথ নেওয়া হয়। সেই কাজে কোন জেলা কতটা অগ্রসর হয়েছে তা জানতে বিশেষ সমীক্ষা চালায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফেব্রুয়ারি মাসে চালানো এই সমীক্ষার হিসাবে ২০১৫ সালের থেকে ৬০ শতাংশের বেশি যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমায় পূর্ব মেদিনীপুর স্বর্ণপদক এবং নদিয়া জেলায় ২০ শতাংশের বেশি যক্ষ্মা নিবারণ করে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বলে জানান বরুণ।
মূলত জেলাগুলিতে কত নতুন যক্ষ্মা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, কত ওষুধ বিক্রি হয়েছে, সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে কত ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং রোগী সেই ওষুধ খেয়েছেন কি না সবই এই সমীক্ষায় বিচার করা হয়েছে।
কোভিডের সময় যক্ষ্মা রোগীর পরীক্ষা, চিকিৎসা ধাক্কা খেলেও লকডাউনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীকে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় বলে জানান স্বাস্থ্য ভবনের যক্ষ্মা বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্তা। বরুণ জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকার পাশাপাশি আমাদের রাজ্য পৃথক ভাবে রাজ্য স্ট্র্যাটেজিক প্লান তৈরি করে রোগী চিহ্নিত করার সঙ্গে তাঁদের বাড়ির লোকের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হয়। কোভিড রোগীদের মধ্যেও যক্ষ্মা রোগী খোঁজা হয়েছে। যক্ষ্মা নির্মূল করতে স্বাস্থ্য ভবন পৃথক দল তৈরি করে কাজ চালানো হচ্ছে।
দেশে ২০০ বেশি জেলা জুড়ে এই সমীক্ষা চালায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাতে যে সব জেলা ২০১৫ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি যক্ষ্মা রোগ নিবারণ করতে সক্ষম হয়েছে সেই সব জেলাকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। আগামী সমীক্ষার জন্য রাজ্যের ১২টি জেলার নাম পাঠানোর পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy