Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
ED

Money laundering case: বাংলাদেশে অর্থ হাতিয়ে এ পারে, চার্জশিট ইডি-র

বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থা প্রশান্ত ও পৃথ্বীশকে ফেরার ঘোষণা করে। অভিযোগ উঠেছিল আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শুভাশিস ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২ ০৭:১৮
Share: Save:

দুই বাংলাদেশি নাগরিক দশ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা নয়ছয়ের পরে এ-পারে পালিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। ও-পার বাংলার সেই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কলকাতার বিচার ভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ বা চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আদালতের খবর, ওই মামলায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল সেখানকার অ্যান্টি করাপশন কমিশন। ইডি সূত্রের খবর, প্রশান্তকুমার হালদার ও পৃথ্বীশ হালদার নামে দুই বাংলাদেশি বিপুল অর্থ আত্মসাতের পরে লুকিয়ে ভারতে ঢোকেন এবং এ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধরা পড়ে যান।

বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থা প্রশান্ত ও পৃথ্বীশকে ফেরার ঘোষণা করে। অভিযোগ উঠেছিল আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও অর্থ লগ্নি সংস্থা থেকে ওই টাকা তছরুপ করে ভারতে বিভিন্ন ব্যবসা ও বিষয়সম্পত্তি ক্রয়ে তা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তছরুপের প্রচুর টাকা রাখা হয়েছে এ-পারের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হয়। ইডি গত মে মাসে প্রশান্ত, পৃথ্বীশ এবং তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্য-সহ আট জনকে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করে। তাঁরা সকলেই এখন জেল হেফাজতে আছেন।

চার্জশিটে ইডি-র তদন্তকারী অফিসার জানান, ধৃত আট জনই বাংলাদেশি নাগরিক। সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনি ভাবে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ভারতীয় ভোটার, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরি করিয়েছিলেন। সেই সব নথির ভিত্তিতেই তাঁরা ভারতে বিভিন্ন সংস্থা খোলেন এবং অ্যাকাউন্টও খুলেছেন বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্কে। অভিযোগ, এ-পারের ওই সব সংস্থা ও ব্যাঙ্কে জালিয়াতির টাকা গচ্ছিত রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, এ রাজ্যের অন্তত ১০টি জায়গায় বিপুল টাকার জমি, বাড়ি-সহ বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তি কিনেছেন অভিযুক্তেরা।

বাংলাদেশের অ্যান্টি করাপশন কমিশন অভিযুক্তদের হস্তান্তরের জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছিল বলে আদালত সূত্রের খবর। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘এই বিষয়ে বিভিন্ন আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এখনও। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তির আগে অভিযুক্তদের হস্তান্তর করার সম্ভাবনা নেই।’’

ইডি-র অভিযাগ, প্রশান্ত ও পৃথ্বীশ জালিয়াতির মূল পান্ডা। বাংলাদেশ থেকে জালিয়াতির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতে নিয়ে আসেন তাঁরা। বিভিন্ন বিষয়সম্পত্তি কেনা, নানা সংস্থা তৈরি করা ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং কয়েক জন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হয়। সম্পত্তি কেনা হয় তাঁদের নামেও। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের নামে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় ১০টি মূল্যবান সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ED Bangladeshi CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE