এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য জুড়ে ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করল ইডি। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি চলছে। ইডির একাধিক দল গিয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে। মুর্শিদাবাদের আন্দিতে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ইডি আধিকারিকেরা রয়েছেন। জীবনকৃষ্ণ বাড়িতেই রয়েছেন বলে খবর। রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও ইডি হানা দিয়েছে। পাশাপাশি বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা হানা দিয়েছে। মায়া সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণের পিসি। এসএসসি নিয়োগ মামলায় জীবনকৃষ্ণের নাম আগেই জড়িয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। এ বার তাঁর পিসির বাড়িতেও গেল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, কলকাতাতেও একাধিক জায়গায় তারা হানা দিয়েছে। মুর্শিদাবাদে তাদের যে দলটি গিয়েছে, তা শুধু জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশির জন্যই কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইডির সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আন্দিতে জীবনকৃষ্ণের গ্রামের বাড়ির সামনে সকাল সকাল দু’টি গাড়ি এসে থামে। একটিতে ছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। অন্যটিতে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। তাঁরা বাড়ি ঘিরে ফেলেন। ইডি আধিকারিকদের পাঁচ সদস্যের দল বাড়ির ভিতরে যায়। সূত্রের খবর, বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা।
আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির সামনে পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার সকালে। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন:
সাঁইথিয়ায় শাসকদলের কাউন্সিলর মায়ার বাড়ির সামনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ির প্রধান ফটক কিছুটা খোলা। বাইরে পাহারায় আছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ইডি আধিকারিকেরা ভিতরে গিয়েছেন। তবে কেন এই হানা, কিসের খোঁজে তল্লাশি চলছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। মায়াকেও এখনও বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুরে জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগর সাহার বাড়ি। সেখানে ইডি রয়েছে। এ ছাড়া, মহিষ গ্রামের বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মচারী রাজেশ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, তল্লাশির সময় প্রমাণ লোপাটের জন্য জীবনকৃষ্ণ নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। দীর্ঘ তল্লাশির পর পুকুরের জল ছেঁচে তা উদ্ধার করা হয়। ১৩ মাস পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান।