—ফাইল চিত্র।
দুঃসহ দহনের দরুন সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে টানা ৫৯ দিন গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ছুটি কমানোর জন্য পথে নেমেছিলেন শিক্ষকদের একাংশ। এই অবস্থায় মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সেই ছুটি কিছুটা কমানোর ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত দিন টানা গরমের ছুটির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন। সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে অনুরোধ করেছে ছাত্রছাত্রীরাও। আমরা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বসে এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করব। প্রতি বছর যত দিন গরমের ছুটি থাকে, তার বেশি ছুটির দরকার আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
ছুটি কতটা কমবে, কবে ফের স্কুল খুলবে, সেই বিষয়ে এ দিন কেউ কিছু বলেননি। সাধারণ ভাবে প্রতি বছর ১৭ মে থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, জুনে আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে, সেই বিষয়ে তিনি আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন।
৩ মে স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন একটি নির্দেশিকায় জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী ও প্রচণ্ড গরমের জন্য সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গেল। ছুটি চলবে ৩০জুন পর্যন্ত। সেই নির্দেশিকাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। বহু শিক্ষক সংগঠন গরমের ছুটি কমানোর দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। মিছিলও হয়। শিক্ষকদের মতে, অগস্টে সেকেন্ড টার্মের পরীক্ষা আছে। টানা প্রায় দু’মাস ছুটি থাকলে কী করে পাঠ্যক্রম শেষ হবে, সেই প্রশ্নও ওঠে। স্কুলে বহু পড়ুয়া আছে, যাদের পুষ্টি মিড-ডে মিলের উপরে অনেকটা নির্ভরশীল। টানা গরমের ছুটিতে তারা সেই খাবার ঠিকমতো পাবে না বলেও অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেন। সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের বহু ছাত্র গরিব। দীর্ঘ ছুটিতে স্কুল ছেড়ে তাদের কেউ কেউ কাজে চলে যেতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy